Advertisement
Advertisement
France

অচলাবস্থা চরমে! মন্ত্রিসভা গঠনের কয়েক ঘণ্টা পরই ইস্তফা ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর

গত ৩ বছরে ফ্রান্সে ৭ জন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন।

France's new PM resigns sparking fresh political chaos

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী। ফাইল ছবি

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:October 6, 2025 2:49 pm
  • Updated:October 6, 2025 3:21 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্রোহের আগুনে জ্বলছে গোটা ফ্রান্স। অচলাবস্থা চরম আকার নিয়েছে দেশটিতে। তারই প্রতিফলন এবার দেখা গেল সরকারের অন্দরে। জনবিক্ষোভের জেরে মন্ত্রিসভা গঠনের মাত্র কয়েকঘণ্টা পরই ইস্তফা দিলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী পদে বসার মাত্র এক মাসের মধ্যেই গদি ছাড়তে হল লেকর্নুকে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন। সবমিলিয়ে ২ বছরে ৫ জন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন।

Advertisement

লেকর্নুর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ফ্রাঁসোয়া বেরু। তাঁর মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন লেকর্নু। ৮ সেপ্টেম্বর বেরু অনাস্থা ভোটের হারের পর লেকর্নুকে উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। যদিও পদে বসার পর এক মাস পার হওয়ার আগেই পদ ছাড়তে হল তাঁকে। জানা যাচ্ছে, সোমবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় লেকর্নুর। এরপরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে সেই কী এমন আলোচনা হল, যার জেরে পদ ছাড়তে হল প্রধানমন্ত্রীকে তা অবশ্য জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, দু’বছরে ৪ বার প্রধানমন্ত্রী বদলের প্রতিবাদে সম্প্রতি রাজধানী প্যারিসের রাজপথে নেমেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের পাশাপাশি একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। শহরজুড়ে চলে অগ্নিকাণ্ড। বিক্ষোভ থামাতে বহু মানুষকে গ্রেপ্তারে পাশাপাশি চলে লাঠিচার্জ। মনে করা হয়, দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশাতে প্রলেপ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেরু সরকারের পতন ঘটে। জানা যায়, ফ্রান্সের ক্রমবর্ধমান সরকারি ঋণের মোকাবিলা করতে বেরু সরকার সম্প্রতি বাজেটে ৪৪ বিলিয়ন ইউরো কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নেন। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছিল দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য-সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে। এর জেরে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চার হতে শুরু করে। কারণ, দেশবাসীর মৌলিক চাহিদাগুলিতে কোপ পড়ে।

এরপর ‘আস্থা’ ভোটে পরাস্ত হন বেরু। তারপরই পথে নামেন হাজার হাজার মানুষ। যার সূত্রপাত সোশাল মিডিয়া থেকে। বেরুর পতনের পরই ফ্রান্সে সমাজমাধ্যমে ‘ব্লক এভরিথিং’ (সব কিছু বন্ধ করো) ট্রেন্ড করতে শুরু করে। সোশাল মিডিয়া থেকে প্রতিবাদের সেই ঝাঁজ জনপথে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী করা হলেও তাঁর নয়া মন্ত্রিসভা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অভিযোগ করা হয়, নয়া মন্ত্রিসভা পূর্ববর্তী বেরু সরকারের অনুলিপি। এই মন্ত্রিসভায় কোনও নতুনত্ব নেই। এমনকী অনাস্থা প্রস্তাবেরও হুমকি দেওয়া হয়। তার আগেই অবশ্য ইস্তফা দিলেন লেকর্নু।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ