সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শক্তিশালী নেতাই হোক বা রাষ্ট্রপ্রধান কিংবা সেলিব্রিটি – কথায় আছে, বউয়ের কাছে নাকি সকলেই সমান। সেখানে তাঁর পরিচয় শুধুই স্বামী, যাঁকে নাকি সবসময়ে শাসনে রাখতে হয়, নইলেই বেয়াড়া হয়ে যান! কিন্তু তাই বলে যেখানে সেখানে স্বামীকে চড়-থাপ্পড়! তা মোটেই মেনে নেওয়া যায় না। অথচ বাস্তবে ঘটে গেল তেমনটাই। বিমান থেকে নামার সময় সপাটে চড় খেলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ! সর্বসমক্ষে এমন দৃশ্য মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। হু হু করে বাড়ছে ভিউ। এনিয়ে কম গুঞ্জন, ফিসফাসও হচ্ছে না। স্ত্রীর হাতে চড় খেয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের হতভম্ব দশা দেখে মজা পাচ্ছেন নিন্দুকরা।
রবিবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া সফর শুরু করেছেন সস্ত্রীক ম্যাক্রোঁ। ফ্রান্স থেকে তাঁদের বিমান প্রথম অবতরণ করে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে। সেখানেই বিমানের দরজা খুলে নামার সময় এমন অপ্রীতিকর দৃশ্য একেবারে সকলের চোখের সামনে। দেখা যাচ্ছে, দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাক্রোঁর গালে সপাটে এসে পড়ল চড়! স্ত্রীর রণমূর্তি দেখে হতভম্ব হয়ে যান প্রেসিডেন্ট। মুহূর্তের মধ্যে অবশ্য সবটা সামলে বিমান থেকে নেমে আসেন দম্পতি। সেসময় স্ত্রী ব্রিজিটের হাত ধরতে যান ম্যাক্রোঁ। কিন্তু ব্রিজিট দূরত্ব বজায় রেখেই সিঁড়ি দিয়ে নামেন। তাতেই বোঝা যায়, দাম্পত্য কলহ মামুলি নয়, বেশ গভীর।
কিন্তু কেন এমন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিগেট? নাঃ, ঘনিষ্ঠ সূত্রে তেমন কোনও কারণ শোনা যাচ্ছে না। বলা হচ্ছে, ওটা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মামুলি ঝামেলা। বিদেশ সফরের আগে দুজনে নিজেদের মধ্যে একটু সময় কাটাচ্ছিলেন। সেখানে কোনও কারণে সামান্য মনোমালিন্য হয়েছিল হয়ত। এর বেশি কোনও জল্পনার অবকাশ নেই বলেই দাবি ফরাসি সংবাদমাধ্যমের। তবে উভয়ের সম্পর্কের মাঝে অন্য নারীর উপস্থিতি নিয়ে খানিক কানাঘুষো হলেও তা হাওয়ায় উড়ে গিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, ম্যাক্রোঁর নতুন মহিলা সেক্রেটারিকে নিয়েই নাকি যত ঝামেলা।
৪৭ বছর বয়সি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিট তাঁর চেয়ে বছর পঁচিশের বড়। তিন সন্তানের মা, ফরাসি সাহিত্যের শিক্ষিকা ব্রিজিটের সঙ্গে ম্যাক্রোঁর পরিচয় সেই ১৫ বছর বয়স থেকে। তখন ব্রিজিটের বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। তারপর দীর্ঘ প্রেম এবং বিয়ে। ম্যাক্রোঁকে নাকি বরাবরই বেশ শাসনে রাখেন শিক্ষিকা স্ত্রী। রাষ্ট্রপ্রধান হলে কী? প্রতি পদক্ষেপই স্ত্রীর কথা মেনে চলেন ম্যাক্রোঁ। সেই শাসনেরই অংশ বিদেশের মাটিতে এভাবে প্রকাশ্যে চড়? এমনটা ভেবেও কেউ কেউ হাসির ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন। অন্যদিকে, এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় চূড়ান্ত অস্বস্তিতে ফরাসি প্রশাসন। কীভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোল হবে, ভাবতেই পারছে না কেউ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.