সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’মুঠো খাবারই যেন এখন স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে গাজার অসংখ্য মানুষের। পরিস্থিতি দিনে দিনে ভয়ানক হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম এবং ইউনিসেফের তরফে নতুন এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে খাদ্য ও পুষ্টির মানের নিরিখে সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ের সম্মুখীন গাজা। ফলে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সেখানে ভয়ংকরতম চেহারায় পৌঁছে গিয়েছে।
সিএনএনের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দিনের পর দিন অনাহার, অপুষ্টির সঙ্গে যোগ হয়েছে অসুখের কামড়। যার জেরে খিদের প্রকোপে মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হচ্ছে মানুষকে। জানা যাচ্ছে, এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত ২০ হাজার শিশুকে অপুষ্টির চিকিৎসা করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাদের মধ্যে অন্তত হাজার তিনেক শিশুর অবস্থা রীতিমতো আশঙ্কাজনক। অপুষ্টি কুড়ে কুড়ে খেয়েছে শরীর।
সেকথা জানিয়ে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক তথ্য থেকে পরিষ্কার গাজার দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। প্রাণধারণের জন্য গাছের পাতা ও দূষিত জলও নাকি পান করতে হচ্ছে বহু মানুষকে। এক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে ত্রাণের ট্রাককে ঘিরে কীভাবে জনসমুদ্রের সৃষ্টি হয়েছে।
২০২৩ সাল থেকে ইজরায়েল ও হামাসের নয়া সংঘাতের শুরুয়াৎ। এরপর থেকে অন্তত ৬০ হাজার প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। গাজায় ৪ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ ক্ষুধার্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৭১ হাজার! এমনটাই জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। গত ২ মার্চ থেকে খাবার, ওষুধ, জ্বালানি-সহ মানবিক সাহায্য গাজা ভূখণ্ডে পৌঁছনো বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে ত্রাণে সম্মতি দেওয়া হলেও ইজরায়েলি সেনার গুলিতে ত্রাণ নিতে আসা অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে গাজার পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট বলছে, গত মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত গাজার ত্রাণ শিবিরগুলিতে খাবার আনতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে হাজারের বেশি মানুষের। সম্প্রতি এই পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গাজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে গাজা মৃত্যু এবং ধ্বংসের এমন এক স্তরে রয়েছে, যার তুলনা নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.