Advertisement
Advertisement
Gaza

গাজায় ত্রাণ ঢুকলেও পৌঁছচ্ছে না নিরন্ন মানুষের কাছে! রয়েছে লুটের আশঙ্কাও

ওষুধপত্র, আটা-ময়দা এবং পুষ্টিকর খাদ্য নিয়ে ৯০টি ট্রাক গাজায় ঢুকেছে বলে জানা যাচ্ছে।

Gazans say no humanitarian aid has reached them
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:May 22, 2025 9:19 pm
  • Updated:May 22, 2025 9:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১১ সপ্তাহ ধরে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল ইজরায়েল। অবশেষে ট্রাক ঢুকছে একে একে। কিন্তু তবুও ত্রাণ আদৌ শিশুদের কাছে পৌঁছনো যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রাষ্ট্রসংঘের। তাদের দাবি, ট্রাক গাজা ভূখণ্ডে প্রবেশ করলেও ইজরায়েলি সেনা অনুমতি দিচ্ছে না ত্রাণ নামানোর। তবে এই অভিযোগের জবাবে ইজরায়েলি সেনা কিছু জানায়নি এখনও পর্যন্ত।

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের কাউন্ট্রি ডিরেক্টর অ্যান্টনি রেনার্ড বলেছেন, ”এখনও পর্যন্ত কোনও ত্রাণই, তা যতই সামান্য হোক না কেন, গাজার মানুষের কাছে পৌঁছয়নি।” এখনও পর্যন্ত ৯০টি ট্রাক গাজায় ঢুকেছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত ওষুধপত্র, আটা-ময়দা এবং পুষ্টিকর খাদ্যই ট্রাকে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ট্রাকগুলি ভিতরে ঢুকলেও ত্রাণ পৌঁছনো তো যায়ইনি, এমনকী তা লুটের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ সময় ধরে গাজায় ত্রাণ ঢোকার পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইজরায়েলি সেনা। আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের তরফে লাগাতার চাপ দেওয়া হচ্ছিল ইজরায়েলকে। এই পরিস্থিতিতে এবার কিছুটা নরম মনোভাব দেখিয়েছে তেল আভিভ। কিন্তু এমন পদক্ষেপ করা হলেও তা কার্যকরী হবে কিনা সন্দেহ। গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের মানবিক শাখার প্রধান টম ফ্লেচার জানান, প্রাথমিক ভাবে পাঁচ ট্রাক ত্রাণ সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শিশুদের খাদ্যও। কিন্তু দীর্ঘ সপ্তাহ ধরে ত্রাণ বন্ধ থাকার ফলে ওই ত্রাণ সমুদ্রে একফোঁটা জল পড়ার শামিল। বিবিসির রেডিও ৪-কে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ”আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে, আমরা যদি ওদের কাছে পৌঁছতে না পারি। অপুষ্টিতে ভোগার ফলে শিশুসন্তানকে স্তন্যপান করাতে না পারা মায়েদের কাছে শিশুখাদ্য পৌঁছে দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করে চলেছি আমরা।” পরবর্তী সময়ে ট্রাকের সংখ্যাবৃদ্ধির কথা জানা গেলেও পরিস্থিতি প্রতিকূলই রয়েছে গাজাবাসীদের জন্য। তেমনটাই দাবি তাঁদের।

বৃহস্পতিবার প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, না খেতে পেয়ে গাজায় ২৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে গত কয়েকদিনে। ইউনিসেফের পরিসংখ্যান বলছেন, এই যুদ্ধে গাজায় অন্তত ১৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম ৩৪ হাজার। এবং অন্তত ১০ লক্ষ শিশু ঘরছাড়া! বড়দের পৃথিবীতে এভাবেই গুলি-বোমার ছোবলে বিপন্ন শৈশব। রাষ্ট্রসংঘের মতে গাজা এখন ‘পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপ্টিক কিলিং জোন’। অর্থাৎ প্রলয়-পরবর্তী হত্যাক্ষেত্র। এহেন পরিস্থিতিতে ত্রাণের ট্রাক গাজায় প্রবেশ করলেও এখনও গাজাবাসীর হাতে ত্রাণ না পৌঁছয় আশঙ্কা বেড়েই চলেছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement