সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাস নিধনে গাজায় ‘ধ্বংসযজ্ঞ’ জারি রেখেছে ইজরায়েল। রাতভর বোমাবর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ জন প্যালেস্তিনীয়। যার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। ইজরায়েলি সেনার দাবি ‘হিটলিস্টে’ থাকা কুখ্যাত জঙ্গিদের নিকেশ করতেই এই অভিযান। তেল আভিভের হাতে মার খেয়ে কোণঠাসা হওয়ার পর ফের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস। আমেরিকার হস্তক্ষেপেই প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠনটি রাজি হয়েছে বলে খবর।
জেহাদিদের জাল ছিঁড়তে গাজার হাসপাতাল, স্কুল, বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। তাদের দাবি, সাধারণ মানুষকে ঢাল করে এখানেই ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে হামাস জঙ্গিরা। এএফপি সূত্রে খবর, রবিবার রাতভর গাজার একটি স্কুল-সহ একাধিক জায়গায় আগুন ঝরায় ইজরায়েলি সেনা। ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন বহু মানুষ। বোমাবর্ষণে প্রাণ হারান ৪৪ জন। যার অধিকাংশ শিশু। আহত ৬৬। ইজরায়েলের দাবি কুখ্যাত জঙ্গিদের খতম করতে এই অভিযান।
এদিকে, রয়টার্স সূত্রে খবর, আজ সোমবার আমেরিকার দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী ৭০ দিনের যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস। বদলে দুটি দলে ভাগ করে ১০ ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দেবে তারা। প্যালেস্টাইনের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “হামাস ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি। এর বদলে তারা ১০ জন ইজরায়েলি বন্দিকে দু’দফায় মুক্তি দেবে।” এই সংঘাতে মধ্যস্থতাকারীদের আশা, এভাবেই হয়তো গাজায় যুদ্ধ থামার পথ মিলবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইজরায়েল এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। ফলে হামাস রাজি থাকলেও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাসে গাজাকে অবরুদ্ধ করে ভয়ংকর অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল। সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানা যায়, গাজার ২০ লক্ষ বাসিন্দার মধ্যে বেশিরভাগই ভয়ংকর অপুষ্টির শিকার। ত্রাণ না পৌঁছলে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। এর পরই গাজার ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেয় ইজরায়েল। যদিও উত্তর গাজায় ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি ইজরায়েলের তরফে। কারণ ওই অঞ্চলে গাজার বাসিন্দাদের উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছে। ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি মিললেও, অভিযান বন্ধ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.