সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আমেরিকার মধ্যস্থতায় আলোচনা শুরু হয়েছে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে। সেই আলোচনাতেই একগুচ্ছ দাবি পেশ করল হামাস। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একদা হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃতদেহ ফেরত দিতে হবে ইজরায়েলকে। প্রায় এক বছর আগে অভিযান জানিয়ে এই সিনওয়ারকে খতম করেছিল ইজরায়েল সেনা। এর পাশাপাশি আরও একগুচ্ছ দাবি রাখা হয়েছে হামাসের তরফে।
গত ২ বছর ধরে গাজাকে কার্যত নরকে পরিণত করার পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এই যুদ্ধ থামাতে তৎপর হয়েছে আমেরিকা। মিশর ও কাতারের উদ্যোগে আলোচনা চলছে হামাস ও ইজরায়েলের সঙ্গে। সূত্রের খবর, সেই আলোচনাতেই হামাস প্রস্তাব দিয়েছে তাদের দুই কমান্ডারের দেহ ফেরত দেওয়ার। এছাড়া ইজরায়েলের হাতে বন্দি প্যালেস্টিনীয় ও হামাস সদস্যদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তবে হামাস নিজেদের তরফে এই দাবি রাখলেও ইজরায়েল এখনও এই ইস্যুতে কোনও মন্তব্য করেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস। যার বদলা নিতে গত ২ বছর ধরে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল। অভিযান চলাকালীন গত বছরের সেপ্টেম্বরে জানানো ইজরায়েল সেনা খতম করেছিল হামাস প্রধান সিনওয়ারকে। জানা যায়, সেই সময় দক্ষিণ গাজার একটি স্কুলে বোমাবর্ষণ করেছিল ইজরায়েলি সেনা। যে হামলায় মৃত্যু হয় শিশু-মহিলা-সহ ২০ জনের। ইজরায়েলের দাবি করে, ওই স্কুলেই ছিল হামাসের কমান্ড সেন্টার। এই হামলার পরই হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর কথা প্রকাশ করা হয়। এবার যুদ্ধবিরতির শর্তে সেই সিনওয়ার ও আরও এক কমান্ডারের দেহ ফেরত চাইল হামাস।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতির শর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই হামাসকে জানিয়েছিলেন, তাদের হাতে বন্দি ৪৮ পণবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। এঁদের মধ্যে বর্তমানে ২০জন জীবিত রয়েছেন। বাকিদের মৃতদেহ ফেরাতে হবে হামাসকে। পাশাপাশি ইজরায়েল তাদের হাতে বন্দি ২৫০ জন প্যালেস্টিনীয়কে মুক্তি দেবে, যাদের বেশিরভাগই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.