Advertisement
Advertisement
Truce deal with Israel

৩৩ বন্দিমুক্তির বিনিময়ে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি, নরকের দ্বারে দাঁড়িয়ে শান্তির পথে গাজা-ইজরায়েল!

দোহায় আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হচ্ছে যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুঁটিনাটি দিকগুলি।

Hamas likely to release 33 hostages in first phase of truce deal with Israel
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:January 14, 2025 10:18 am
  • Updated:January 14, 2025 10:44 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা আস্ত দেশ কার্যত নরকে পরিণত হওয়ার পর অবশেষে ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটল হামাস। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই ৩৩ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিতে চলেছে গাজার এই জঙ্গি সংগঠন। বিনিময়ে ৪২ দিন যুদ্ধবিরতি জারি থাকবে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হচ্ছে যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুঁটিনাটি দিকগুলি। সোমবার এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।

Advertisement

গত বছরের ৭ অক্টোবর হওয়া হামলার বদলা নিয়ে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন নেতানিয়াহু। তার পর থেকেই লড়াই জারি রয়েছে গাজায়। মাঝে পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে কয়েকদফা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয় গাজা ও ইজরায়েলের মধ্যে। জানা গিয়েছে ২৫০ জন পণবন্দির মধ্যে অনেককে ছাড়া হলেও ৯৪ জন এখনও বন্দি হামাসের হাতে। ইজরায়েলের আধিকারিকরা জানান, এই পণবন্দিদের মধ্যে আর ৩৩ জন জীবিত রয়েছেন। যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে তাঁদের মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি সাক্ষর হবে হামাসের সঙ্গে। সূত্রের খবর, এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমেই হয়ত পুরোপুরি থামতে পারে দুই দেশের যুদ্ধ।

উল্লেখ্য, মারণ যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে হামাস যে পণবন্দিদের মুক্তি দিতে পারে সে আভাষ পাওয়া গিয়েছিল আগেই। যুদ্ধ থামাতে হামাসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফ্লোরিডায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, ”যদি পণবন্দিদের না ফেরানো হয়, নরক নেমে আসবে। আমি চলতে থাকা দরাদরিকে ব্যাহত করছি না। কিন্তু সময়মতো ওরা ফিরে না এলে আমি এই বিষয়ে নাক গলাব। মধ্যপ্রাচ্যে তখন নরক নেমে আসবে।” ট্রাম্পের গর্জনের পাশাপাশি যুদ্ধ থামাতে দীর্ঘদিন ধরে মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকায় কাজ করছিল কাতার ও মিশর।

জানা যাচ্ছে, এই চুক্তির শর্তে দুই দেশের সীমান্ত নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা হতে চলেছে। পাশাপাশি ৭ অক্টোবরের পর গাজায় যে সব অঞ্চল ইজরায়েলের দখলে গিয়েছে তা মুক্ত করবে তারা। সেখানে আবার বসবাস করতে পারবেন গাজার বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, গত বছর ৭ অক্টোবরের হামলার ইজরায়েলের ১২০০ মানুষকে হত্যা করেছিল হামাস। এর পর থেকে ইজরায়েলের পালটা হামলায় গাজায় ৪৬৫৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ