সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার ব্রত নিয়েছে ইজরায়েল। সেই লক্ষ্যে ফের বড় সাফল্য ইহুদি সেনার। শনিবার ইজরায়েল সেনা (আইডিএফ)-এর তরফে দাবি করা হল, ১৩ মে গাজার খান ইউনিসে চলা এয়ারস্ট্রাইকে খতম হয়েছে হামাস প্রধান মহম্মদ সিনওয়ার। খান ইউনিসে ইউরোপীয় হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গে ঘাঁটি গেড়ে ছিল এই হামাস নেতা। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
আইডিএফের তরফে জানানো হয়েছে, খান ইউনিসের ওই গুপ্ত সুড়ঙ্গে বসেই হামাস যোদ্ধাদের পরিচালনা করত সিনওয়ার। গোপন খবরের ভিত্তিতে সেখানে বিমান হামলা চালানো হয়। ইজরায়েলের দাবি, এই হামলায় কোনও সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়নি। এমনকী ওই হাসপাতালের সাধারণ কাজকর্মেরও কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি বলে দাবি ইজরায়েলের। শুধু তাই নয়, এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে হামাসের রাফা ব্রিগেডের কমান্ডার মহম্মদ শাহাবানে ও দক্ষিণ খান ইউনিস ব্যাটেলিয়নের কমান্ডার মহদি কুয়ারার। এরা দুজনেই ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের হামলার মাস্টারমাইন্ড।
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ এক বিবৃতিতে জানান, “হামাস প্রধান মহম্মদ সিনওয়ার, রাফা ব্রিগেডের কমান্ডার শাহাবানে ও এদের সঙ্গে থাকা গোটা দলটাকে গাজার ইউরোপীয় হাসপাতালের নিচে খতম করা হয়েছে। এদের সকলকে তাদের ভাইদের সঙ্গে দেখা করার জন্য নরকের দরজায় পাঠানো হয়েছে। আইডিএফ এবং আইএসএকে অভিনন্দন নিখুঁত পরিকল্পনায় এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য।”
উল্লেখ্য, হামাস প্রধান মহম্মদ সিনওয়ার, প্রাক্তন হামাস প্রধান ইব্রাহিম হাসান সিনওয়ারের ভাই। গত বছর অক্টোবর মাসে এই ইব্রাহিমকে খতম করেছিল ইজরায়েল। তার মৃত্যুর পর মহম্মদ সিনওয়ারকে বসানো হয় হামাসের প্রধানের পদে। ইজরায়েলের দাবি, ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল এই সিনওয়ার। এর আগে সিনওয়ার খান ইউনিস ব্রিগেডের কমান্ডার এবং অপারেশনস হেডকোয়ার্টার্সের প্রধানের দায়িত্বে ছিল। ২০০৬ সালে গিলাদ শালিত অপহরণে পরিকল্পনাও ছিল এর মস্তিষ্কপ্রসূত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.