সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ফের সংঘাতে জড়াল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, গাজার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে নিয়ে ক্যাম্পাস বিক্ষোভের সময় ইহুদি এবং ইজরায়েলি পড়ুয়াদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে হার্ভাড। শুধু তাই তাই নয়, পড়ুয়াদের নাগরিক অধিকারও লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে হোয়াইট হাউস।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বারকে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্যালেস্টাইনে হামলার প্রতিবাদে হার্ভার্ডে যখন ইজরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইহুদি এবং ইজরায়েলের পড়ুয়াদের প্রতি উদাসীন ছিল। তাঁদের সুরক্ষা দেওয়াতো দূর, উলটে পড়ুয়াদের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি, চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, যদি হার্ভাড তার ভুল না শোধরায়, তাহলে আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবরকম অনুদান বন্ধ করবে মার্কিন প্রশাসন। যদিও এবিষয়ে এখনও পর্য্ন্ত হার্ভাডের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে সূত্রের খবর, চিঠি পাওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
প্যালেস্টাইনে হামলার প্রতিবাদে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইজরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তা সহ্য হয়নি ইজরায়েল-বান্ধব ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগ তুলে প্রশাসন বেশ কিছু কঠোর নির্দেশ জারি করে। একই সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দশ দফা নির্দেশনামা পাঠানো হয়। যা পত্রপাঠ খারিজ করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই ধরনের সরকারি হস্তক্ষেপ তারা মানতে নারাজ। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ কোটির অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষা দপ্তরের তরফে নোটিস দিয়ে বহু বিজ্ঞানী ও গবেষককে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। তুলে নেওয়া হয়েছে করছাড়ের মর্যাদাও। পাশাপাশি, হার্ভার্ডকে কটাক্ষ করে ট্রাম্প বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়টি ইহুদি বিদ্বেষী এবং কমিউনিস্টদের আখড়া হয়ে উঠেছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.