Advertisement
Advertisement

Breaking News

IBM

ফের কৃত্রিম মেধার ‘আগ্রাসন’, আইবিএমে ছাঁটাই ৮ হাজার কর্মী

সম্প্রতি আইবিএম তাদের ২০০টি এইচআর পদ এআই এজেন্টদের দ্বারা প্রতিস্থাপিত করেছে।

IBM is cutting around 8000 jobs likely because of AI
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:May 27, 2025 1:54 pm
  • Updated:May 27, 2025 1:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে জাল বিস্তার করা ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বা কৃত্রিম মেধার প্রকোপ পড়েছে ভারতেও। ২০২৫-২৬ কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে এআই-এর বাড়বাড়ন্তের জেরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল আর্থিক সমীক্ষায়। এই আবহে কৃত্রিম মেধার উপর ‘ভরসা’ করেই প্রায় ৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা আইবিএম। যে সমস্ত কর্মীর চাকরি গিয়েছে তাঁরা বেশিরভাগই সংস্থাটির ‘হিউম্যান রিসোর্স (এইচআর)’ বিভাগে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বলে রাখা ভালো, সম্প্রতি আইবিএম তাদের ২০০টি এইচআর পদ এআই এজেন্টদের দ্বারা প্রতিস্থাপিত করেছে। তারপরই সংস্থাটি এই পদক্ষেপ করল।

কী এই এআই এজেন্ট?  জানা গিয়েছে, সংস্থাটির কাছে এখন এমন সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম রয়েছে যা তথ্য বাছাই, কর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, অথবা অভ্যন্তরীণ নথি প্রক্রিয়াকরণের মতো কাজগুলি সম্পাদন করতে পারে। এমনকী মানুষের থেকে অনেক দ্রুত গতিতে তারা এই কাজগুলি করতে সক্ষম।   

সম্প্রতি আইবিএমের সিইও অরবিন্দ কৃষ্ণা এক সাক্ষাৎকারে এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তাঁর ব্যাখ্যা, সংস্থার নির্দিষ্ট কিছু অভ্যন্তরীণ  কাজ সহজ করতে এবং কর্মীদের আরও দক্ষ করে তুলতে কৃত্রিম মেধা এবং ‘অটোমেশন’ ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছিলেন, আইবিএম-এর মোট কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ অটোমেশন থেকে প্রাপ্ত মুনাফা ব্যবসার অন্যান্য অংশে, যেমন সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং-এ বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, যেসব কাজে সৃজনশীলতা এবং কৌশলগত চিন্তাভাবনার প্রয়োজন সেগুলোর চাহিদা এখনও রয়েছে। অন্যদিকে, পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ বিশেষ করে যেগুলিকে ‘ব্যাক-অফিস’ কাজ বলা হয়, সেগুলোর ঝুঁকি বেশি। আইবিএমের প্রধান ‘হিউম্যান রিসোর্স’ আধিকারিক নিকেল ল্যামোরেক্স বলেন, “কৃত্রিম মেধা যে সমস্ত চাকরি খেয়ে নেবে, এটা বলা ঠিক নয়। খুব সামান্য সংখ্যক পদই প্রতিস্থাপিত হবে।”

উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে কৃত্রিম মেধার বাড়বাড়ন্ত যে ব্যাপকভাবে বেড়েছে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর জেরে চাকরির বাজারে সংকট তৈরি হবে এটা ঠিক, তবে তার সঙ্গে চাকরির বিকল্প রাস্তাও খুলে যাবে এটাও অস্বীকার করার জায়গা নেই। এই বিষয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও জানিয়েছিলেন, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির প্রয়োজন যেমন রয়েছে তেমনই চাকরির ক্ষেত্রেও যাতে খুব বিশেষ প্রভাব না পড়ে তা দেখা উচিত।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement