Advertisement
Advertisement
Indonesia

রাজনৈতিক বাধায় যুদ্ধবিমান খুইয়েছে ভারত! বেফাঁস সেনাকর্তা, ‘সাফাই’ দিয়ে বিবৃতি দূতাবাসের

অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিনিধির মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক।

Indian Embassy statement on defence attaché remark in Indonesia
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:June 30, 2025 12:30 pm
  • Updated:June 30, 2025 12:30 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংসের জন্য দায়ী ‘রাজনৈতিক বাধা’! বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ইন্দোনেশিয়ায় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত নৌসেনা আধিকারিক ক্যাপ্টেন শিব কুমার। এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হতেই মুখ খুলেছে ইন্দোনেশিয়ার ভারতীয় দূতাবাস। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শিব কুমারের মন্তব্যের অপব্যাখ্যা হচ্ছে।

পহেলগাঁও হামলার পর অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের হামলায় ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন ভারতীয় সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান। সেবার সিঙ্গাপুরে ‘ব্লুমবার্গ টিভি’র একটি সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি। তবে পাক বাহিনীর হাতে ক’টি ভারতীয় বিমান ধ্বংস হয়েছিল, তা জেনারেল চৌহান সিঙ্গাপুরে স্পষ্ট করেননি। এবার ইন্দোনেশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন ক্যাপ্টেন শিব কুমার। নিজের ভাষণে তিনি বলেন, “ভারত কিছু যুদ্ধবিমান খুইয়েছে। তার কারণ রাজনৈতিক বাধা ছিল। নেতারা চাইছিলেন পাক সামরিক ঘাঁটি বা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালাতে।”

বিতর্কিত মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই প্রবল সমালোচনা শুরু করেন বিরোধীরা। কেন অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হচ্ছে না, প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ, এই নিয়ে সুর চড়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তারপরেই গোটা ঘটনা নিয়ে দীর্ঘ বিবৃতি দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ভারতীয় দূতাবাস। এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়, ‘ডিফেন্স অ্যাটাশের মন্তব্যকে কীভাবে সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে তা দেখেছি। কিন্তু তাঁর মন্তব্যের কিছুটা অংশ অপ্রাসঙ্গিক ভাবে তুলে ধরে অপব্যখ্যা হচ্ছে সংবাদমাধ্যমে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনেই সমানভাবে কাজ করে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। কিন্তু প্রতিবেশী দেশগুলির ক্ষেত্রে অনেক সময়ে তেমনটা হয় না। অপারেশন সিঁদুরের লক্ষ্য ছিল জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা। ভারতের প্রত্যেকটি পদক্ষেপই ছিল প্রত্যাঘাতের, নিজে থেকে আক্রমণ শানায়নি।’ তবে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আদৌ থামবে কিনা, উঠছে প্রশ্ন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement