সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝআকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষ দুই বিমানের। কানাডায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। তাঁদের মধ্যে একজন ভারতীয়। জানা গিয়েছে, মৃতরা দু’জনেই পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। টেক অফ এবং ল্যান্ডিং কীভাবে করা হয় সেই ট্রেনিংয়ের সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার মানিটোবা এলাকার হার্ভস এয়ার পাইলট ট্রেনিং স্কুলে। সেখানকার প্রেসিডেন্ট অ্যাডাম পেনার জানান, মৃত দুই ছাত্র বিমান ওড়ানো এবং নামানোর অনুশীলন করছিলেন। সিঙ্গল ইঞ্জিনের বিমানগুলিতে রেডিও সিস্টেম রয়েছে। কিন্তু বিমানের ভিতর থেকে অন্যদিক থেকে আসা বিমান সম্ভবত দেখতে পাননি দুই পাইলট। দু’জনেই একই রানওয়েতে নামার চেষ্টা করেন। সেসময়েই ভয়াবহ বিপত্তি।
দু’টি বিমান ভেঙে পড়তেই মৃত্যু হয় প্রশিক্ষণ নেওয়া দুই তরুণ পাইলটের। ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয় দু’জনের দেহ। পরে জানানো হয়, মৃতদের মধ্যে একজন ভারতীয়। শ্রীহরি সুকেশ নামে ২৩ বছর বয়সি ওই ট্রেনি পাইলট কেরলের বাসিন্দা। কোচি থেকে কানাডায় পাড়ি দিয়েছিলেন পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানেই থেমে গেল তাঁর স্বপ্নের উড়ান। সুকেশের সহপাঠী ২০ বছর বয়সি সাভানা মে রয়েসেরও মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কানাডার ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড। সুকেশের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছে কানাডার ভারতীয় কনসুলেট জেনারেল। শোকার্ত পরিবারের পাশে থেকে সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, পাইলট প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এতখানি গাফিলতি কী করে হল? দুই পাইলটকে কেন সতর্ক করা হল না। উল্লেখ্য, কানাডার এই পাইলট ট্রেনিং স্কুলে গোটা দুনিয়া থেকে ছাত্রছাত্রীরা আসে। প্রত্যেক বছর অন্তত ৪০০ জন প্রশিক্ষণ নেয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি ভারতীয় তরুণের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.