Advertisement
Advertisement
USA

বর্ণবিদ্বেষের বলি! আমেরিকায় ভারতীয় প্রযুক্তিকর্মীকে গুলি করে মারল পুলিশ

তাঁর বিরুদ্ধে নিজের রুমমেটকে ছুরি মেরে খুন করার অভিযোগ করা হয়েছে।

Indian techie killed in USA by police, family suspects harassment
Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:September 19, 2025 9:06 am
  • Updated:September 19, 2025 10:31 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন মুলুকে ফের আক্রমণের শিকার ভারতীয়! জানা গিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় ৩০ বছর বয়সি তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। অভিযোগ, নিজের রুমমেটকে ছুরি মেরে খুন করেছেন ওই ভারতীয়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মৃত ভারতীয়ের পরিবার। তাঁরা মার্কিন পুলিশের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

Advertisement

নিহত ভারতীয়ের নাম মহম্মদ নিজামুদ্দিন। তিনি তেলেঙ্গানার মেহবুবনগরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে সান্তা ক্লারার বাড়িতে ছুরি হাতে দেখা যায়। সেই সময় তিনি নিজের রুমমেটকে দেওয়ালে চেপে ধরেছিলেন। ৯১১-এ জরুরি ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান অফিসাররা, এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। অনুমান, নিজামুদ্দিন এবং তাঁর রুমমেটের মধ্যে বচসা থেকেই ঘটনার সূত্রপাত হয়।

পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এসসিপিডি অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিজামুদ্দিনকে ছুরি হাতে দেখতে পান। তারপরেই গুলি চালান পুলিশ আধিকারিকরা। নিজামুদ্দিনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। নিজামুদ্দিনের রুমমেটকেও স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’ এই ঘটনায় যৌথ তদন্ত শুরু করেছে সান্তা ক্লারা পুলিশ এবং সান্তা ক্লারা ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস।

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে নিজামুদ্দিনের পরিবার। তাঁদের দাবি, মৃত্যুর আগে নিজামুদ্দিন নিজেই ফোন করে পুলিশ ডাকেন। পরিবারের তরফে একটি লিঙ্কডইন পোস্টের কথা বলা হয়েছে। সেই পোস্টে নিজামুদ্দিন লেখেন, তিনি বর্ণবৈষম্য, জাতিগত হয়রানি, নির্যাতন, বেতন-জালিয়াতি, অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার মত অন্যায়ের শিকার হয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি নিজের উপরে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। সেখান থেকেই নিজামুদ্দিনের পরিবার বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছে। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে তাঁরা।

নিজামুদ্দিনের বাবা জানিয়েছেন, সান্তা ক্লারার একটি হাসপাতালে নিজামুদ্দিনের দেহ রাখা হয়েছে। দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্য চেয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় যান নিজামুদ্দিন। ফ্লোরিডার কলেজে এমএস ডিগ্রি পেয়ে সেখানেই একটি সংস্থায় কাজ শুরু করেন তিনি। পরবর্তীকালে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement