সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মারাত্মক প্রত্যাঘাত ইরানের! সিরিয়ার পর ইরাক এবং কাতারের মার্কিন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আছড়ে পড়ল তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র। সোমবার রাতে ইরান থেকে একসঙ্গে ৬টি ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইরান বনাম ইজরায়েলের সংঘাতকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যের একের পর এক দেশে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে যুদ্ধের আগুন। যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। সাইরেন বাজছে আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে। ইতিমধ্যে সে দেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সক্রিয় করা হয়েছে। ইজরায়েলের এক সরকারি আধিকারিকের দাবি, হামলার লক্ষ্য ছিল মার্কিন বায়ুসেনা ঘাঁটি। তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও মেলেনি। সূত্রের দাবি, শুধুমাত্র কাতার বা ইরাক নয়, বাহরিন এবং কুয়েতের মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা করেছে ইরান। এরপরই সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে বাহরিনের আকাশসীমা।
— Anas Alhajji (@anasalhajji)
এদিকে হামলার তীব্র নিন্দা করেছে কাতার সরকার। এক্স হ্যান্ডেলে তাদের দাবি, ‘সরাসরি আমাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত ইরানের। উত্তর দেওয়ার অধিকার আমাদেরও আছে।’ স্বাভাবিকভাবেই এই হামলার পর কাতারে থাকা ভারতীয়দের সতর্ক করেছে নয়াদিল্লি। আপাতত ঘর থেকে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে তাঁদের।
The State of Qatar strongly condemns the attack that targeted Al-Udeid Air Base by the Iranian Revolutionary Guard. We consider this a flagrant violation of the sovereignty of the State of Qatar, its airspace, international law, and the United Nations Charter. We affirm that…
— د. ماجد محمد الأنصاري Dr. Majed Al Ansari (@majedalansari)
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, দোহার আল উদেইদ মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় মার্কিন বিমানঘাঁটি। যেখান থেকে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের ‘অপারেশন’ নিয়ন্ত্রিত হয়। ১৯৯০ সাল, উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় থেকেই এখানে ঘাঁটি গেড়েছে আমেরিকা। দাবি, ইরাক, ইরান এবং কাতারের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য় করে আমেরিকার সেনা। এবার সেই ঘাঁটিকেই নিশানা করল ইরান। আগেই এই হামলার আশঙ্কা করেছিল ওয়াশিংটন। সূত্রের দাবি, ইরানের হামলার পরই ‘সিচুয়েশন রুমে’ বৈঠকে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকও ডাকা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইজরায়েল-ইরানের সংঘাতে মধ্যে সরাসরি জড়িয়েছে ওয়াশিংটন। রবিবার ভোররাতে ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এ ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকা। এরপরই ভয়ংকর প্রত্যত্তুরের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তেহরান। বলা হয়েছিল, এবার প্রতিটি মার্কিনি তাদের টার্গেট। যেমন কথা, তেমন কাজ! সোমবার সকালে সিরিয়ার মার্কিন সেনাঘাঁটিতে বিধ্বংসী হামলা চালাল তেহরান। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে জানা যায়নি। সেই রেশ কাটার আগেই এদিন রাতে কাতার এবং ইরাকের মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.