Advertisement
Advertisement
Gaza Ceasefire

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সবুজ সংকেত হামাস ও ইজরায়েলের! গাজায় কবে থামছে মৃত্যুমিছিল?

ইজরায়েলের হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ৪৫ হাজার।

Israel, Hamas "Days Away" From Finalising Gaza Ceasefire
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:December 18, 2024 9:02 pm
  • Updated:December 18, 2024 9:02 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। গাজায় এখনও রক্তক্ষয়ী অভিযান জারি রেখেছে ইজরায়েল। হামাস নিধনে ‘হত্যাযজ্ঞ’ অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে খবর, যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে চুক্তি করতে কয়েকধাপ এগিয়েছে হামাস ও ইজরায়েল। দুপক্ষের আলোচনায় মিলেছে সবুজ সংকেত। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, হাজার হাজার মৃত্যুর পর এবার কি থামতে চলেছে গাজা যুদ্ধ?

Advertisement

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর যুদ্ধবিরতির জন্য লাগাতার মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিশর, সৌদি আরবের মতো দেশ। গাজা যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে থাকলেও যুদ্ধবিরতির বৈঠকে নিয়মিত যোগ দিচ্ছে আমেরিকা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগেই মিশরের কায়রোতে আলোচনায় বসেছিল হামাস ও ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা। জানা গিয়েছে, দুপক্ষের বৈঠক সদর্থক হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ১৪ মাস ধরা এই যুদ্ধে ছেদ পড়তে পারে। স্বাক্ষরিত হতে পারে পণবন্দিদের মুক্তির চুক্তি।

এর আগে যতবার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তা নাকচ করে দিয়েছিলেন। এনিয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ইজরায়েল এই চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছে। এবার আমরা যথেষ্ট আশাবাদী।” যুদ্ধবিরতি নিয়ে হওয়া এই বৈঠক নিয়ে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজও বলেন, “অন্যবারের তুলনায় এই প্রথম আমরা চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছি।” হামাসও এই চুক্তি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। বলে রাখা ভালো, গাজায় এখনও হামাসের ডেরায় বন্দি ইজরায়েলের শতাধিক মানুষ। অন্যদিকে, ইজরায়েলের হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ৪৫ হাজার। যুদ্ধের বলি নিষ্পাপ শিশুরাও। ফলে যতদিন যাচ্ছে জোরালো হচ্ছে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই গাজায় বিশেষ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)-এর বিরুদ্ধে। যে ড্রোনগুলো ঘুরে বেরাচ্ছে শরণার্থী শিবির বা প্যালেস্তিনীয়দের বাড়ির সামনে। সেখান থেকে ভেসে আসছে মহিলার আওয়াজ কিংবা শিশুর কান্না। ওই ড্রোনগুলো মূলত ‘কোয়াডকপ্টার’। রিমোট দ্বারা পরিচালিত। নজরদারি চালাতে, নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুকে টার্গেট করতে অথবা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার কাজে এর ব্যবহার করে ইজরায়েলি সেনা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ