সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে প্যালেস্তিনীয়দের কোন কোন দেশে পাঠানো হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এমনটাই জানালেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। দক্ষিণ সুদান, সোমালিল্যান্ড, ইথিওপিয়া, লিবিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও আরও বেশ কিছু দেশের সঙ্গে ২০ লক্ষেরও বেশি শরণার্থীদের পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এদিকে পরিবর্তে দেশগুলিও উপযুক্ত অর্থনৈতিক এবং ক্ষতিপূরণ চেয়েছে বলে ইজরায়েল সরকার সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার একটি সাক্ষাৎকারে কোনও দেশের নাম উল্লেখ না করে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, একাধিক দেশের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলছেন তাঁরা। প্যালেস্তিনীয়দের জোর করে কোথাও পাঠাতে তাঁর আপত্তি আছে। তবে তাঁরা যদি নিজেরাই চলে যেতে চান, অনুমতি মিলবে। পাশাপাশি প্যালেস্তিনীয়দের শুভাকাঙ্ক্ষী দেশগুলিকে এই পরিস্থিতিতে অসহায় গাজাবাসীর জন্য দরজা খুলে রাখারও অনুরোধ করেছেন তিনি।
অবশ্য বুধবারই সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দক্ষিণ সুদান জানিয়ে দিয়েছে, নেতানিয়াহু সরকারের এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইজরায়েলের সঙ্গে এই বিষয়ে নাকি তাদের সরকারের তেমন কোনও আলোচনা হয়নি। এই প্রথমবার নয়, চলতি বছরের শুরুর দিকেও প্রায় একই রকম কথা জানিয়ে দিয়েছিল সোমালিল্যান্ড সরকার। এদিকে শর্তসাপেক্ষে গাজাবাসীকে পূনর্বাসন দিতে রাজি ইন্দোনেশিয়া।
গত সপ্তাহেই ইন্দোনেশিয়া সরকারের তরফে জানানো হয়, ২০০০ প্যালেস্তিনীয়কে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত তারা। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তাদের গাজায় ফিরে যেতে হবে। আগাম শর্ত দিয়ে রেখেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। সব মিলিয়ে পুনর্বাসন নিয়ে কোন কোন দেশের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। শেষপর্যন্ত কী হবে তা সময়ই বলবে।
তবে গাজার মানুষের প্রতি নেতানিয়াহুর মনোভাব আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমালোচিত হয়েছে। এর আগেও ত্রাণশিবিরে থালা হাতে লাইনে দাঁড়ানো ক্ষুদার্থদের এমনকি তৃষ্ণার্থ মানুষের উপরও মারণ হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলের সেনা। ইহুদি সেনার এমন নিষ্ঠুর হামলায় একাধিকবার নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল। ইজরায়েলি সেনার হামলায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েল সরকারের সমলোচনায় সরব হয়েছে রাষ্ট্রসংঘ ও ইউনেস্কো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.