সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনার পাথর বাটি আর শান্তির জন্য যুদ্ধ সমার্থক। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে যা দিনে দিনে স্পষ্ট। ক্রমশ বাড়ছে সংঘাত এবং ধ্বংস। ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে আমেরিকার হামলার পর তেল আভিভ, হাইফায় প্রায় ২৫টি ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালায় তেহরান। অন্যদিকে সোমবার ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএস) দাবি করেছে, তারা ৬টি ইরানি সামরিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায় ১৫টি যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে এই ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিও।
আইডিএফ জানিয়েছে, তারা ইরানি সেনার এফ-১৪, এফ-৫ এবং এএইচ-১ বিমান ধ্বংস করেছে। এই বিমানগুলিকেই যুদ্ধে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হত। তার আগেই সেগুলিকে ধ্বংস করা হল। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনার আরও দাবি, তাদের হামলায় এই সামরিক বিমানবন্দরগুলির রানওয়ে এবং ভূগর্ভস্থ অ্যাপার্টমেন্টগুলিরও ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য, ইরানের সেনাঘাঁটিগুলিতে ইজরায়েলের হামলার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই প্রকাশ্যে এনেছে খোদ আইডিএফ।
প্রসঙ্গত, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে, বহুবার মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। যদিও আজ পর্যন্ত তা প্রমাণিত হয়নি। এরমধ্যেই ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ, মার্কিন হামলা ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে। বিশেষজ্ঞের দাবি, দশকের পর দশক ধরে ইরানে মোল্লাতন্ত্র কায়েম রয়েছে। নেতৃত্বে খামেনেই। ক্রমশ জ্বালানি তেলের ভাণ্ডার ইরান বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ইজরায়েল, আমেরিকা-সহ পশ্চিম বিশ্বের একাধিক দেশের জন্যে। মরুদেশের শক্তিধর দেশটির উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারানো মানে মধ্যপ্রাচ্যের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারানো। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ঠিক সেই কারণেই খামেনেইকে নিকেশ করে ইরানের মোল্লাতন্ত্রের অবসান ঘটাতে চাইছে পেন্টাগন। গণতন্ত্র কিংবা নিদেন রাজতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেওয়াই উদ্দেশ্য। যদিও রবিবার প্রকাশ্যে সেই দাবি মানল না ওয়াশিংটন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.