ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পণবন্দিদের মুক্তি ও ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করলেও রেহাই নেই। ইজরায়েল গাজা দখল করবেই। হামাসের সঙ্গে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে গাজাকে কার্যত নরকে পরিণত করার পর এবার হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর এহেন হুঁশিয়ারি এমন সময়ে এল যখন গাজা দখলের উদ্দেশে এগোতে শুরু করেছে ইজরায়েল সেনা। এবং এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বড় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু স্পষ্ট ভাষায় জানান, “গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল করার যে সংকল্প আমরা করেছি, তা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত থামব না। হামাস ধ্বংস হবেই। হামাসকে গাজায় ছেড়ে আসার পাত্র আমরা নই।” একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, “যে কোনও মূল্যে গাজা আমরা দখল করবই।” অর্থাৎ নেতানিয়াহুর বিবৃতিতে স্পষ্ট যে ভবিষ্যতে হামাস সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হলে এবং পণবন্দিদের ছেড়ে দিলেও গাজা দখল করবে ইজরায়েল।
এই প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের কথাও উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সঠিক কথাই বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন হামাসকে গাজা ছেড়ে যেতে হবে। এটা অনেকটা জার্মানিতে এসএস (শুটজস্টাফেল) ছেড়ে যাওয়ার মতো। আপনারা জানেন, জার্মানির বেশিরভাগ অংশ এসএস থেকে মুক্ত হয়েছিল কিন্তু বার্লিন এসএস এবং নাৎসিদের হাতে রয়ে গিয়েছে।” উল্লেখ্য, ১৯২৫ সালে হিটলার শুটজস্টাফেল যা এসএস নামে পরিচিত। প্রথমে এসএস হিটলারের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করত। পরে তা বৃহত্তর রূপ নেয়। নেতানিয়াহু বলেন, হামাস যদি পণবন্দিদের মুক্তি দেয় ও গাজাকে অস্ত্রমুক্ত করে তবেই এই যুদ্ধ এখনই শেষ হবে।
উল্লেখ্য, হামাস মুক্ত গাজা গঠনের লক্ষ্যে গত বুধবার থেকে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে ইজরায়েলের সেনা। গাজা শহরকে হামাসের শক্তঘাঁটি বলে দাবি করেছে ইজরায়েল। অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব নেতানিয়াহুকে অবিলম্বে গাজা থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই অভিযানের ফলে আরও অসংখ্য ক্ষুদার্থ মানুষের মৃত্যু হবে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত গাজায় ইজরায়েলের অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.