Advertisement
Advertisement
Gaza

দুর্ভিক্ষের গাজায় রেহাই নেই হাসপাতালেও! ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যু পাঁচ সাংবাদিক-সহ ২০ জনের

হাসপাতালে হামলার কথা জানিয়েছেন প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Israeli strike on Gaza hospital kills at least 15, including 3 journalists
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:August 25, 2025 3:03 pm
  • Updated:August 25, 2025 6:44 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্ভিক্ষের গ্রাসে গাজা। নেই ওষুধ। ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে কুকুর-বেড়ালের মতো মরছে মানুষ। তারপরেও ক্ষান্ত দিচ্ছে না ইজরায়েলি সেনা। মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো হামলা চালাচ্ছে আইডিএফ। সোমবার গাজার নাসের হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা। এই হামলা মৃত্যু হয়েছে পাঁচ সাংবাদিক-সহ ২০ জনের। হাসপাতালে হামলার কথা জানিয়েছে প্য়ালেস্টাইনের স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে দাবি, ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যু হয়েছে রয়টার্সের কর্মী হাতমে খালেদ-এর। এছাড়াও একজন ফটোগ্রাফারের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর। চলমান সংঘাতের মধ্যে গত সপ্তাহ থেকে হামাস গোষ্ঠীকে নিকেশ করতে ইজরায়েলি সেনা গাজা শহরে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে। শহরের দখল নিতে হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইজরায়েলে হামাসের প্রাথমিক হামলার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জঙ্গি গোষ্ঠীর শক্ত ঘাঁটিগুলি ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও সেই প্রচেষ্টা চালাতে গিয়ে হাজার হাজার নিরীহ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। এমনকী খোদ আইডিএফ বিবৃতি দিয়েছে, সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে হামাস।

এদিকে নতুন খবর, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে হামাসের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইক জমির। তাঁর আর্জি, হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি মেনে নেওয়া হোক। সম্প্রতি হাইফা নৌসেনা ক্যাম্প প্রদর্শনে গিয়ে ইজরায়েলের সেনা প্রধান বলেন, “নেতানিয়াহুর সামনে বন্দি বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন করার একটি সুযোগ রয়েছে। আমাদের মনে হয় এই সুযোগ গ্রহণ করা উচিত। সেনার জন্যই এই বিশেষ চুক্তি সম্পন্নের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নেবেন।” জমির আরও বলেন, “দেশের জনগনের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তারা চান বন্দি বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন হোক। যার মাধ্যমে ৫০ জন পণবন্দিকে ঘরে ফেরানো এবং এই যুদ্ধ সমাপ্ত করা সম্ভব হবে।”

উল্লেখ্য, তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা যুদ্ধে এবার চরম আঘাত হানার প্রস্তুতি শুরু করেছে ইজরায়েল। এদিকে নেতানিয়াহুর সেনার গুলিতে মৃত্যুর পাশাপাশি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে গাজায়। ইতিমধ্যেই সেখানে ৬০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলের চরম অমানবিকতায় রাষ্ট্রসংঘের পাশাপাশি ফুঁসে উঠেছে ইউরোপের বহু দেশ। শুধু তাই নয়, ঘরের অন্দরেও যথেষ্ট চাপে নেতানিয়াহু। শনিবার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের হয় তেল আবিবের হোস্টেজ স্কোয়ার থেকে। রাজধানীর পাশাপাশি ইজরায়েলের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ এসে যোগ দেন মিছিলে। তাঁদের অভিযোগ, ”প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আলোচনা এবং চুক্তির কথা বলছেন ঠিকই, কিন্তু তার আচরণে স্পষ্ট যে তিনি পণবন্দিদের বলি দিতে চান। পণবন্দিরা বাঁচল কী মরল তাতে প্রধানমন্ত্রীর কিছু যায় আসে না।” গুরুতর এই পরিস্থিতির মাঝেই সামনে এল ইজরায়েল সেনাপ্রধানের বিবৃতি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ