সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের তরুণীর মৃতদেহ মিলল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির একটি ফ্ল্যাটে। মৃতা ২৯ বছরের অতুল্যার পরিবারের অভিযোগ, পণের দাবিতে তাঁর উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাত স্বামী সতীশ। মৃত্যুর দিনও স্বামীর ভয়ংকর নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন অত্যুল্যা। সতীশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে কেরল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে সতীশের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অতুল্যার। তাঁদের একটি কন্য়াসন্তানও রয়েছে। কেরলের কোল্লামের বাসিন্দা অতুল্যার মা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, ১৮ জুলাই থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে স্বামী সতীশ তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। অভিযোগ, ওই সময় অতুল্যার পেটে লাথি মারা হয়, মাথায় প্লেট দিয়ে আঘাত করা হয়। সেই নির্যাতনের জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
অতুল্যার মা আরও জানান, বিয়ের সময় পণ হিসাবে একটি বাইক ও ৪৩টি সোনার মোহর দিয়েছিলেন সতীশকে। যদিও সতীশ ও তাঁর পরিবার সেটিকে ‘পর্যাপ্ত’ মনে করত না। এরপর থেকেই নতুন নতুন দাবিতে তরুণীর উপর অত্যাচার শুরু হয়। শনিবার শারজার ফ্ল্যাট থেকে অতুল্যার দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্বামী সতীশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, চলতি মাসেই শারজায় সন্তান-সহ ৩২ বছর বয়সি কেরলের এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই ঘটনাতেও পণের দাবিতে বধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.