Advertisement
Advertisement
Hezbollah

হেজবোল্লার অস্ত্র কেড়ে নেবে লেবানন! উচ্ছ্বসিত নেতানিয়াহু বললেন, ‘আমরা সাহায্য করব’

১৪ মাসের সংঘাতের পর আমেরিকার হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয় ইজরায়েল ও হেজবোল্লার।

Lebanon to disarm Hezbollah, Israel welcomes move
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:August 25, 2025 4:11 pm
  • Updated:August 25, 2025 4:11 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লেবাননের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন হেজবোল্লাকে নিরস্ত্রীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার সরকার। বাস্তবে এই পদক্ষেপ নিয়ে জটিলতা তৈরি হলেও লেবানন সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল ইজরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, লেবানন সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় ইজরায়েল। প্রয়োজনে সাহায্যেরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তেল আভিভের তরফে।

Advertisement

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই ইস্যুতে সম্প্রতি এক বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ হেজবোল্লাকে নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লেবাননের মন্ত্রীপরিষদ। প্রেসিডেন্ট আউন ও প্রধানমন্ত্রী সালামের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ এই পদক্ষেপকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে ইজরায়েল। এটি লেবাননের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার, সামরিক বাহিনী ও শাসনব্যবস্থাকে বিদ্রোহী প্রভাব থেকে মুক্ত করার এক সুবর্ণ সুযোগ। যদি লেবানন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষম হয় সেক্ষেত্রে লেবানন থেকে পর্যায়ক্রমে ইজরায়েলের সেনা প্রত্যাহার ও পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

উল্লেখ্য, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিক ফ্রন্টে লড়াই চালাতে হচ্ছে ইজরায়েলকে। এই তালিকায় রয়েছে লেবাননের হেজবোল্লা ফ্রন্টও। ইজরায়েলের মাটিতে সরাসরি রকেট হামলার পাশাপাশি প্রত্যক্ষভাবে হামাসকে অস্ত্র সরবরাহ করে এসেছে হেজবোল্লা। এই ঘটনায় বাধ্য হয়ে লেবাননের মাটিতে হামলাও চালিয়েছে ইজরায়েল। গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন মধ্যস্থতায় ইজরায়েল ও হেজবোল্লার মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হলেও পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। এই জটিলতার মাঝে লেবানন সরকারের নিরস্ত্রীকরণ প্রস্তাব মানতে একেবারেই নারাজ হেজবোল্লা। স্পষ্ট ভাষায় তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইজরায়েল যদি লেবাননে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ৫টি পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহার ও বিমান হামলা বন্ধ না করে তবে কোনও রকম আলোচনায় বসবে না তারা।

তবে হেজবোল্লার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে লেবানন সরকারের উপরে চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। কারণ গত ১৪ মাসে হেজবোল্লা ও ইজরায়েল যুদ্ধে লেবাননের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কিছু কম নয়। ইজরায়েলের হামলায় লেবাননের বহু রাজনৈতিক ও সামরিক নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় লেবাননের শরীরে হেজবোল্লা একটি বিষফোঁড়া। তা দ্রুত কেটে ফেলে স্বস্তি খুঁজতে চাইছে সেখানকার সরকার। ইজরায়েলের তরফেও এই বিষয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন নেতানিয়াহু।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ