সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে দশকের পর দশক ধরে মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে। এই অভিযোগে এবার মার্কিন দৈনিক ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর বিরুদ্ধে ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মানহানির মামলা করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ধনকুবের প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের সত্যতা আদালতে প্রমাণ করতে না-পারলে ওই বিপুল পরিমাণ জরিমানা দিতে হবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন হাউসের ওভারসাইট কমিটির ডেমোক্র্যাটরা প্রকাশ করেন জেফ্রি এপস্টিনকে লেখা যৌনগন্ধী চিঠি, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষর রয়েছে। যদিও এই চিঠি লেখার কথা অস্বীকার করেন ট্রাম্প। এমনকী প্রথমবার চিঠিটি প্রকাশ করা ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন। এবারে সমাজমাধ্যমে ক্ষিপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমি ‘নিউ ইয়র্ক টাইম্স’-এর বিরুদ্ধে ১৫০০ কোটি ডলারের মানহানির মামলা করছি। এরা আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ফালতু খবরের কাগজ। ক্রমশ ওই সংবাদপত্র বিপ্লবী বাম ডেমোক্র্যাট পার্টির মুখপত্র হয়ে উঠেছে।” ট্রাম্পের এই পোস্টের পরেই নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
প্রসঙ্গত, ওয়াল স্ট্রিট প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ২০০৩ সালে এপস্টেইনের ৫০তম জন্মদিনে অনেকেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ট্রাম্পও। তিনি যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাতে একটি নগ্ন নারীর ছবি আঁকা ছিল। এই চিঠি ঘিরে ক্ষোভ উগরে দিলেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, ওই প্রতিবেদন ‘ভুয়ো, ক্ষতিকর, অবমাননামূলক’। আর তাই তিনি বিপুল অঙ্কের জরিমানা চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি কখনওই নারীদের ছবি আঁকেন না। ওই চিঠির ভাষাও তাঁর নয়। পুরোটাই বানিয়ে তোলা। এহেন পরিস্থিতিতে ফের কমিটি প্রকাশ করল ওই চিঠি। তবে স্রেফ ওই চিঠি নয়, একটি আস্ত অ্যালবাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ট্রাম্প ছাড়াও রয়েছে বহু হাই প্রোফাইল ব্যক্তির নাম। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, আইনজীবী অ্যালান ডেরশোউইৎজ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এপস্টেইন ছিলেন এক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তাঁর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৪০ জন মহিলা যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছিলেন। ধর্ষণ ও নাবালিকা পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত এপস্টেইন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ৪৫ বছরের কারাদণ্ড হত। কিন্তু তার আগেই তিনি আত্মঘাতী হন। সেই সময় ট্রাম্প বলেছিলেন এপস্টেইনের আত্মহত্যার পিছনে রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। বহু মার্কিন রাজনৈতিক নেতার প্রচারে একসময়ে অর্থ জুগিয়েছিলেন এপস্টেইন। যার মধ্যে ট্রাম্পের নামও শোনা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.