Advertisement
Advertisement
Mumbai attack

‘মুম্বই হামলার নেপথ্যে মাসুদ আজাহারই’, পাকিস্তানের মুখোশ খুলে স্বীকারোক্তি জইশ কমান্ডারের

বালাকোটের মাটি থেকেই ভারতে হামলার নীল নকশা, স্বীকারোক্তি জইশ কমান্ডারের।

Masood Azhar behind Parliament and 26/11 Mumbai attack, says Jaish leader
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 17, 2025 4:52 pm
  • Updated:September 17, 2025 5:03 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের রপ্তানিকারী দেশ পাকিস্তান’, এই সত্য ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এল। পাকিস্তান থেকে পরিচালিত জইশ-ই-মহম্মদের শীর্ষ এক কমান্ডার মাসুদ আজাহারকে কার্যত নগ্ন করে দিল বিশ্বের দরবারে। একইসঙ্গে খুলে পড়ল পাকিস্তানের মুখোশ। জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, দিল্লির সংসদ হামলা ও ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল কালপ্রিট আর কেউ নয়, খোদ মাসুদ আজাহার। ইলিয়াসের বয়ানে স্পষ্ট যে পাকিস্তান যতই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করুক না কেন, বাস্তবে পাকিস্তানের শিরায় শিরায় সন্ত্রাসের বিষ।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুযায়ী ইলিয়াস জানিয়েছে, ভারতে ৫ বছর ধরে জেলবন্দি থাকার পর মাসুদ যখন মুক্তি পায় তখনই ভারতে হামলার পরিকল্পনা করে। ইলিয়াসের কথায়, “দিল্লির তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর মাসুদ আজাহার পাকিস্তানে চলে আসেন। বালাকোটের মাটি থেকেই ভারতে হামলার পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেন তিনি। দিল্লি ও মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার নীল নকশা তৈরি করা হয় বালাকোট থেকেই।” ওই ভিডিওতে ইলিয়াসের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসী হামলার যাবতীয় পরিকল্পনা রচিত হয়েছিল এই বালাকোট থেকে। শুধু তাই নয়, আমেরিকার হাতে মৃত্যু হওয়া ওসামা বিন লাদেনকে শহিদ বলেও মন্তব্য করে ইলিয়াস।

গতকাল এই ইলিয়াস কাশ্মীরির আরও একটি ভিডিও সামনে এসেছিল। যেখানে তাঁকে উর্দু উচ্চারণে বলতে শোনা গিয়েছে, ”সন্ত্রাসবাদকে কাজে লাগিয়ে দিল্লি, কাবুল ও কান্দাহারের সঙ্গে লড়ে আমরা দেশের সীমান্তকে রক্ষা করেছি। সব কিছু ত্যাগ করার পর ৭ মে মৌলানা মাসুদ আজহারের পরিবার টুকরো টুকরো হয়ে যায় বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় সেনার আক্রমণে!”

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ মৃত্যুর বদলা নিতে ৬ মে (মঙ্গলবার) গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গার জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তইবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। খতম হয়েছিল বহু জেহাদি। এই ঘটনার পর মাসুদের যে প্রতিক্রিয়া একাধিক সংবাদমাধ্যমে আসে, সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমার পরিবারের সদস্যরা আল্লার আশীর্বাদধন্য হয়েছে। পাঁচজন নিষ্পাপ শিশু, আমার বড় বোন, তার স্বামী। আমার ভাগ্নে এবং তার স্ত্রী, আমার ভাইপো। আমার প্রিয় ভাই (জ্ঞাতি) হুজাইফা এবং তার মা। আরও দু’জন প্রিয় সঙ্গী।” বাস্তবে বিধ্বস্ত হলেও স্বভাব মতো মুখে সেকথা আনেনি কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী। এবার জইশ শীর্ষ কমান্ডারের মুখেও শোনা গেল কীভাবে ভারতীয় সেনার দুরন্ত আক্রমণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement