সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাইফুন রাগাসার পর এবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে ফিলিপিন্স। মঙ্গলবার রাতে ফিলিপিন্সের মধ্যাঞ্চলে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৪০ জন। ভেঙে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন। অনুমান করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের (USGS) রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বোগো শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। প্রায় ৯০ হাজার মানুষের বাস এই অঞ্চলে। জনবসতিপূর্ণ এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের জেরে শহর ও আশেপাশের গ্রামগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বোগো শহরে। এখানে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পাহাড়ি গ্রামে ভূমিধসের ফলে অসংখ্য ঝুপড়ি মাটির নিচে চলে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা। চলছে উদ্ধারকাজ।
ফিলিপিন্স প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থিত। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই অঞ্চল খুবই ভূমিকম্পপ্রবণ। মাঝে মধ্যেই এখানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা এতটাই দুর্বল হয় যে মানুষ তা অনুভব করতে পারে না। তবে গতরাতের কম্পনের মাত্রা বেশ জোরালো ছিল। কম্পন রাতে হওয়ার জেরে সকলেই সেই সময় ঘুমের মধ্যে ছিলেন। যার জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এত বেশি। ওই অঞ্চলের ভাইস মেয়র আলফি রেইনসের মতে, নিকটবর্তী সান রেমিজিও শহরে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে তিনজন উপকূলরক্ষী, একজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী এবং একজন শিশু রয়েছে।
কম্পনের পর প্রাথমিকভাবে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অফ ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি। যদিও পরে তা প্রত্যাহার করে জানানো হয়েছে, সুনামির আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সেবু, লেইট এবং বিলিরানের উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের উপকূল থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি টাইফুন রাগাসার কবলে পড়েছিল ফিলিপিন্স। অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি গোটা দেশ কার্যত বিধ্বস্ত। হাজার হাজার বাসিন্দাকে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হয়েছে। সেই ভয়াবহতা কাটিয়ে ওঠার আগেই ভূমিকম্পের কবলে পড়ল দেশটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.