ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার গাজা শান্তি সম্মেলন। মিশরের শার্ম-আল-শেখের এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ আল-সিসি তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শনিবার। যদিও, মোদি মিশরে যাচ্ছেন কিনা সেই বিষয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। সাম্প্রতিক অতীতের শুল্ক যুদ্ধ এবং এইচ১বি ভিসার সমস্যা জট বাড়িয়েছে দুই দেশের সম্পর্কে। এরপরেও, মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো বুঝিয়ে দিচ্ছে মধ্য প্রাচ্য এবং আমেরিকার কাছে ভারতের গুরুত্ব কতটা।
মিশরের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে শার্ম আল-শেখে আবদেল ফাতাহ আল-সিসি এবং ট্রাম্পের যৌথ সভাপতিত্বে ‘শান্তি শীর্ষ সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ২০ টিরও বেশি দেশের নেতারা অংশগ্রহণ করবেন।
৫০ শতাংশ শুল্ক এবং H1B ভিসার খরচ বাড়িয়ে দেওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে ভারত-আমেরিকা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক। এরই মাঝে এসসিও সম্মেলনের মঞ্চে সখ্য বেড়েছে ভারত, চিন এবং রাশিয়ার। এই সমস্যা পিছনে ফেলে ট্রাম্পকে ফোন করেন মোদি। গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার সাফল্যে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান তিনি। এই আবহে, মোদি সম্মেলনে যোগ দিলে সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি দেখা হবে তাঁর। পাশাপাশি মধ্য প্রাচ্যে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার সুযোগ পাবে ভারত।
চুক্তির বাস্তবায়ন ও শান্তির লক্ষ্যে সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর গত শুক্রবার চুক্তির একটি অংশ বাস্তবায়িত হয়। যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়ে গাজার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইজরায়েল। যার জেরে গাজার ঘরছাড়া বাসিন্দারা ফের বোমা বিধ্বস্ত বাড়িতে ফিরতে শুরু করে।
যদিও, রিপোর্ট বলছে, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা শান্তি চুক্তিতে সই করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে হামাস। চুক্তির শর্ত নিয়ে মতবিরোধের জেরে ফের আশঙ্কার মেঘ উঁকি দিল গাজা উপত্যকায়। সংবাদ সংস্থা এএফপির রিপোর্ট অনুযায়ী, চুক্তিতে হামাসকে গাজা ছেড়ে যাওয়ার যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তাঁকে ‘অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছে হামাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.