সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালে জমি দুর্নীতি মামলায় সাংসদ পদ খোয়ালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার। ভারতীয় যোগগুরু বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলিকে বেআইনি ভাবে জমি দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল নেপালের দুর্নীতি দমন শাখা সিআইএএ। অভিযোগ উঠেছে পতঞ্জলিকে তিনি যে জমি বিক্রি করেছিলেন তাতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে কাভ্রে জেলায় ৩২ হেক্টর জমি কিনেছিল পতঞ্জলি। জমিটি কেনা হয়েছিল সেখানে যোগ শিবির ও ঔষধি গাছ চাষ করার উদ্দেশে। সিআইএএ-এর দাবি অনুযায়ী, মাধব নিজের ক্ষমতার অপব্যভার করে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জমি আইনকে শিথিল করেন এবং জমি বিক্রিতে অনুমোদন দেন। এখানেই শেষ নয় দু’মাস পর ফের নিয়মের তোয়াক্কা না করে ওই জমি বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা এই ঘটনাকে সরকারি নিয়মের অপব্যবহার বলে উল্লেখ করেছে। তাঁদের দাবি, মাধবের এই সিদ্ধান্তের জেরে ১১.৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনায় মাধবের কাছ থেকে ক্ষতির টাকা উসুল করারও আর্জি জানিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই মামলায় ৯৪ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যে তালিকায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রয়েছেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী প্রেম বাহাদুর সিং, প্রাক্তন ভূমি সংস্কার মন্ত্রী ডম্বর শ্রেষ্ঠ, প্রাক্তন মুখ্যসচিব মাধব প্রসাদ ঘিমিরে ও নেপালে পতঞ্জলির পরিচালক শালিগ্রাম সিং। যদিও চার্জশিটে পতঞ্জলির দুই প্রধান বাবা রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণের নাম নেই।
নেপালের আইন অনুযায়ী, সরকারি পদে থাকা কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনওরকম অভিযোগ উঠলে তৎক্ষণাৎ তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। যার জেরেই বর্তমানে নেপালের সংসদ সদস্য মাধবের সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএন ইউনিফায়েড সোশালিস্ট পার্টির সভাপতি মাধব কুমার নেপাল। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও অন্যায় করিনি। আমি সবরকম আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। এই সমস্ত কিছু পি শর্মা অলির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। ওঁ আমাকে পুরোপুরি শেষ করে দিতে চায়।’ পতঞ্জলির তরফে জানানো হয়েছে, তাদের জমিতে কোনও বাণিজ্যিক পদক্ষেপ করা হয়নি। শুধুমাত্র যোগ শিবির ও ঔষধি গাছের চাষ করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.