Advertisement
Advertisement

সোলেমানির উত্তরসূরিরও একই দশা হবে, ইরানকে হুঁশিয়ারি আমেরিকার

‘কাডস ফোর্স’-এর কমান্ডার হিসেবে ইসমাইল কানিকে নিযুক্ত করেছে তেহরান।

New Iran general faces 'same fate' if Americans killed
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 27, 2020 9:42 am
  • Updated:January 27, 2020 9:42 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিহত ইরানি জেনারেল কাশেম সোলেমানির উত্তরসূরিরও একই দশা হবে। উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে ইরানকে এমনটাই হুমকি দিয়েছে আমেরিকা। জঙ্গি কার্যকলাপ না থামালে জেনারেল ইসলমাইল কানিকেও খতম করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইরানে নিযুক্ত আমেরিকার বিশেষ প্রতিনিধি। 

Advertisement

গত জানুয়ারি মাসেই বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে  মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের ‘কাডস ফোর্স’-এর কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলেমানি-সহ ৮ জন। পালটা মার্কিন সেনাঘাঁটিতে রকেট হামলা চালায় ইরানের সেনা। তারপরই  ‘কাডস ফোর্স’-এর কমান্ডার হিসেবে ইসমাইল কানিকে নিযুক্ত করে তেহরান। সোলেমানির দেখানো জেহাদের পথেই হেঁটে আমেরিকাকে শিক্ষা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন জেনারেল কানি।তারপরই চরম হুমকি এসেছে আমেরিকার বিশেষ প্রতিনিধি ব্রায়ান হুকের তরফ থেকে। তিনি সাফ বলেছেন, “যদি সোলেমানির মতোই  মার্কিন নাগরিকদের নিশানা করেন জেনারেল কানি। তবে তাঁরও একই দশা হবে।” সব মিলিয়ে প্রায় যুদ্ধের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে দুই দেশ। এদিকে, মার্কিন হুমকির পরই পালটা তোপ দেগেছে ইরান। সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আব্বাস মউসাভি আমেরিকার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চের হস্তক্ষেপের আরজিও জানিয়েছেন তিনি। 

উল্লেখ্য, সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লাহ খামেনেইয়ের পর ইরানের দ্বিতীয় সবচেয়ে ক্ষমতাবান নেতা ছিলেন এই সোলেমানি। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের আধিপত্য বজায় রাখতে অনেকটাই সফল ছিলেন সোলেমানি। আগেই সোলেমানির হত্যার কারণ ব্যাখ্যা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, শুধু আমেরিকার বিরুদ্ধে ঘৃণা, বিদ্বেষ, হিংসা মনের মধ্যে পুষে রাখতেন সোলেমানি। তাঁর বিভিন্ন বক্তব্যে ব‌্যাখ‌্যা করতেন সেগুলি। আমেরিকার ধ্বংস ও আমেরিকানদের মৃত‌্যু কামনা করতেন সোলেমানি।  নিত‌্যনতুন আজেবাজে কথা বলতেন আমেরিকার বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে বার বার আমেরিকার বিরুদ্ধে বিষ উগরে দিতেন। শুধু তাই নয়, আমেরিকার বিভিন্ন পরিকাঠামো ধ্বংস করতে সক্রিয় হয়ে উঠছিলেন। মধ‌্যপ্রাচ্যে আমেরিকার স্বার্থবাহী যে কোনও পরিকাঠামো ধ্বংস করতে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁকে আর সহ‌্য করা যাচ্ছিল না। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। 

[আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ত্রস্ত চিন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল অন্তত ৫৬]    

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement