সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মার্চের কথা। জিনইয়াং-এ দলীয় বৈঠকে চার কমরেডের সঙ্গে বসে মদ্যপান করেছিলেন এক চিনা সরকারি কর্তা। কিন্তু শেষপর্যন্ত নেশার কবলে পড়ে প্রাণটাই খোয়ান তিনি। সেই ঘটনার পরই শুরু হয়েছিল সমালোচনা। এবার সেদিকে নজর রেখে কড়া নির্দেশ চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। সমস্ত আমলাকে মিতব্যয়ী হওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে মদ, সিগারেট বা সুস্বাদু খাবার কিছুই মিলবে না সরকারি বৈঠকে। আরও নানা ক্ষেত্রে টানা হয়েছে রাশ।
দলীয় ও সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টের নয়া নির্দেশিকা জারি হয়ে গিয়েছে গত মাসেই যেখানে বলা হয়েছে সরকারি বৈঠকে অ্যালকোহল এখন থেকে নিষিদ্ধ। ‘লাক্সারি’ ডিশ কিংবা সিগারেটও মিলবে না। এমনকী বৈঠকের জায়গাটি ফুলে সজ্জিত করা কিংবা চালচিত্রে জমকালো আয়োজন- কিছুই করা যাবে না। ‘সাশ্রয় মহিমান্বিত’- এই নীতির উপরে ২০১৩ সালের এই সংক্রান্ত নির্দেশিকাকেই এবার আরও বদলে দেওয়া হল। নয়া নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। অন্য দেশে সফরকালীন জুয়ো খেলাতেও অংশ নিতে পারবেন না সরকারি প্রতিনিধিরা।
কেন হঠাৎ এমন নির্দেশ জিনপিংয়ের? ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে এশিয়া সোসাইলি পলিসি ইনস্টিটিউটে চিনা রাজনীতির ফেলো নিল থমাস বলেছেন, ”এই মিতব্যয়িতা সংক্রান্ত নির্দেশিকা আপডেট করলেই বেজিংয়ের আর্থিক সমস্যাগুলির সমাধান হবে না।” তাহলে কেন এমন করছেন জিনপিং? সেকথাও পরিষ্কার করেছেন নিল। তাঁর মতে, ”কিন্তু এর ফলে আমলাদের উপরে জিনপিংয়ের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়বে। এবং নেতা হিসেবে তাঁর ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। বহু সাধারণ চিনা নাগরিক আর্থিক যন্ত্রণার শিকার। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি ও খরচ কমানোর সপক্ষে প্রেসিডেন্টের অবস্থান প্রশংসনীয় হবে।”
কেবল নয়া নির্দেশিকা জারি করাই নয়, আগেই এই কারণে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে বহু সরকারি প্রতিনিধিদের। ২০২৪ সালে প্রায় ৩ লক্ষ ১৩ হাজার শৃঙ্খলাভঙ্গে অভিযুক্ত হন। ২০১২ সালে মসনদে বসার সময় জিনপিং যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তারই ভিত্তিতে এই পরিস্থিতি। এবার আরও কড়া হলেন চিনা প্রেসিডেন্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.