সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরীর থাকলেই শরীর খারাপ হবে। এমন কথা মা-দিদিমাদের মুখে তো শোনাই যায়। কিন্তু শরীরেরও নিজস্ব একটা প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে, যা দিয়ে বাইরের নানা জীবাণুর আক্রমণ প্রতিহত করে। মানবশরীরকে সুস্থ রাখতে এই ক্ষমতা অতি জরুরি। আর সে বিষয়ে দীর্ঘ গবেষণার স্বীকৃতি লাভ করলেন তিন বিজ্ঞানী। ২০২৫ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার প্রাপক ত্রয়ী – মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র্যামসডেল এবং শিমোন সাকাগুচি।
প্রথম দুজন মার্কিন বিজ্ঞানী, তৃতীয়জন জাপানি। সোমবারই এবছরের প্রথম নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করেছে সুইডিশ অ্যাকাডেমি। আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, সাহিত্য, অর্থনীতি ও শান্তিতে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।
মেরি ই ব্রাঙ্কো আমেরিকার সিয়াটেলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেম বায়োলজিতে গবেষণারত। সান ফ্রান্সিসকোর সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকসের গবেষক ফ্রেড র্যামসডেল এবং জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিমোন সাকাগুচি। তিনজনেরই গবেষণার বিষয় ছিল মানবশরীরের সহনশীলতা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাকে আরও কীভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন এই ত্রয়ী। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে – পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স।
এসবের স্বীকৃতি মিলল এবার। নোবেলজয়ী দুই বিজ্ঞানী মেরি ব্রাঙ্কো ও ফ্রেড র্যামসডেল ইঁদুরদের উপর এনিয়ে পরীক্ষা করেন। ২০০১ সালে প্রথম তাঁদের বড় আবিষ্কার। তুলনায় তাঁদের চেয়ে বর্ষীয়ান জাপানি নোবেলজয়ী শিমোন সাকাগুচি। ১৯৯৫ সালে প্রথম তিনি নিজের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়েই যুগান্তকারী পর্যবেক্ষণের কথা জানান।
নোবেল কমিটির তরফে ওলি কাম্পে জানিয়েছেন, “আমাদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং তার কার্যকলাপ বোঝার জন্য তাঁদের গবেষণা ও আবিষ্কার বড় সিদ্ধান্তের পথ দেখাতে পারে। কীভাবে বাইরের কোনও বিষাক্ত জীবাণুর সঙ্গে আমরা লড়তে পারি, তা বুঝতে সুবিধা হবে। একইসঙ্গে বোঝা যাবে আমরা প্রত্যেকে কেন একইরকম প্রতিরোধ ক্ষমতার অধিকারী নই।” এর জন্য শরীরে টি সেল বলে পরিচিত কোষ কীভাবে কাজ করে, তাও দেখানো হয়েছে তাঁদের গবেষণায়। নোবেল পুরস্কার জয় স্বভাবতই খুশি তিনজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.