সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্য কি আমেরিকার দাবার ঘুঁটি? ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে শুরু থেকেই নাক গলাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে, বেঁধে যাতে পারমাণবিক যুদ্ধ, ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী। সেই আশঙ্কায় বৃহস্পতিবারই ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। এর মধ্যেই আশার আলো—ইউরোপের তিন দেশের সঙ্গে শুক্রবার জেনেভায় বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে ইরান। তবে কি খুব শিগগিরই যুদ্ধবিরতি?
বৃহস্পতিবার ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠকে বসবেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। এই বৈঠক হবে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। যেখানে উপস্থিত থাকবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক কাজা কাল্লাস। একটি সূত্র জানাচ্ছে, তিন দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে ইরানের যে বৈঠক হতে চলেছে, তাতে সহযোগিতায় রয়েছে আমেরিকাও। ইরান এই বৈঠকে রাজি হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, তারা কি আমেরিকা, ইজরায়েল-সহ পশ্চিম বিশ্বের চাপে শেষ পর্যন্ত মাথা নত করল?
সূত্রের খবর, বৈঠকের উদ্দেশ্যই হল ইরানের থেকে পরমাণু সমৃদ্ধিকরণ নিয়ে প্রতিশ্রুতি আদায় করা। বিদ্যুৎ উৎপাদন তথা নাগরিকদের প্রয়োজন ছাড়া আর কোনও কাজে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করা হবে না, তেহরানের থেকে এই প্রতিশ্রুতি চায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। প্রশ্ন হল, ইরান কি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচিতে ইতি টানতে রাজি হবে?
ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে, এমন আশঙ্কা থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের শুরু। হামলা চালায় ইজারায়েল। আমেরিকাও ক্রমাগত চাপ দিয়ে তেহরানকে আণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল। যদিও তারা তা মানেনি। এদিকে যুদ্ধ ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রেও হামলা চালিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ইজরায়েলের হাসপাতালে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমেরিকা এখনও ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে সরাসরি হামলা না চালালেও শঙ্কিত গোটা বিশ্ব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.