Advertisement
Advertisement
Portugal

ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা পর পর্তুগাল, প্যালেস্তাইনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রী লুইজের

ইজরায়েলি আক্রমণে ‘নরকে’ পরিণত হয়েছে গাজা।

Now Portugal to recognise a Palestinian state
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:September 21, 2025 10:00 am
  • Updated:September 21, 2025 10:25 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং বেলজিয়াম আগেই ঘোষণা করেছিল। এবার সেই দলে যোগ দিল পর্তুগাল। সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্যালেস্তাইনকে তারা রাষ্ট্রের মর্যাদা দেবে। চলতি মাসেই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে তারা তাদের সমর্থনের কথা জানাবে।

Advertisement

পর্তুগালের বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্যালেস্তাইনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দেবে পর্তুগাল।’ পর্তুগালের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী লুইজ মন্টিনিগ্রো এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন। তার আগে তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, সংসদেও বিষয়টি উথ্থাপন করেছিলেন। সব পক্ষের সুবুজ সংকেত মিলতেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন।

উল্লেখ্য, গত জুলাইয়েই কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ঘোষণা করেন, প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দেবেন তাঁরা। এর আগে ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের তরফে জানানো হয়েছিল, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দেবে তারা। তবে ব্রিটেনও শর্ত আরোপ করেছে। জানানো হয়েছে, সেক্ষেত্রে ৭ অক্টোবরে পণবন্দিদের মুক্তি, যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি ও অস্ত্রত্যাগের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে হামাসকে। একইসঙ্গে তাদের জানাতে হবে, গাজার শাসন ব্যবস্থায় তাদের কোনও ভূমিকা থাকবে না।

প্রসঙ্গত, হামাস নিধন যজ্ঞে নেমে গাজাকে কার্যত ‘নরকে’ পরিণত করেছে ইজরায়েল। গোটা গাজা হয়ে উঠেছে আস্ত ধ্বংসস্তূপ। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই জানা গিয়েছে, গাজা থেকে ২০ লক্ষ বাসিন্দাকে সরানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মার্কিন আধিকারিকদের কাছে থাকা নথিপত্রের তথ্য তুলে ধরে এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, আমেরিকা গাজাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার নয়া পরিকল্পনা করেছে। এই প্রকল্পে সেখানকার ২০ লক্ষ বাসিন্দাকে অস্থায়ীভাবে সরানো হবে মিশর, কাতারের মতো দেশগুলিতে। যতদিন না গাজাকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে ততদিন দেশছাড়া হয়ে থাকতে হবে বাসিন্দাদের। প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে অন্তত চার বছর সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সময়কালে গাজার বাসিন্দাদের বাইরে থাকার ভাড়ার ভর্তুকি, ডিজিটাল টোকেন ও নগদ কিছু অর্থ দেওয়া হবে। এক বছর পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ