ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতই গলাবাজি করুক, অপারেশন সিঁদুরের মার সামাল দিতে এখনও হিমশিম খেতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। সিঁদুর অভিযানের পর পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতটাই বেশি যে তা সামাল দিতে আমেরিকার সাহায্য নিতে হচ্ছে শাহবাজদের। মুখে সে কথা স্বীকার না করলেও রিপোর্ট বলছে, ভারতের অভিযানে পাকিস্তানে একাধিক এফ-১৬ বিমান বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে। যা সারাই করতে আমেরিকা থেকে লোক পাঠানো হয়েছিল পাকিস্তানে।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিতে পাকিস্তানে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। পাকিস্তানের পালটা হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সেখানকার একাধিক সেনাঘাঁটি। ধ্বংস হয়ে যাওয়া সেই সব সেনাঘাঁটির একাধিক ছবি বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিল ভারত। এবার সিএনএন নিউজ ১৮-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হামলায় পাকিস্তানের সাব ২০০০ এরিএ AWACS, একটি লকহিড সি-১৩০ এবং কমপক্ষে চারটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বেশ কয়েকটি রাডার সিস্টেম, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ইউনিট এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় পাক বিমান বাহিনীর ভোলারি সেনা ঘাঁটিতে। যেখানে একটি এফ-১৬ বিমান রাখা ছিল। হামলার জেরে তা আকাশে ওড়ার মতো অবস্থায় ছিল না।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভোলারি বিমান ঘাঁটিতে থাকা এরিএ বিমানটি পরে মার্কিন বায়ুসেনার কর্মীরা এসে সারাই করেন। পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা সূত্রকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেই মেরামতি ও আপগ্রেডের জন্য জরুরি তহবিল থেকে ৪০০ থেকে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করা হয়েছিল। যার বিনিময়ে সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি সারাইয়ের কাজে হাত লাগায় আমেরিকা। আরও দাবি করা হয়েছে, চিন এই মেরামতির কাজে অংশ নিতে চাইলেও আমেরিকা সেখানে বাধা দেয়।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনির মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এই বিষয়ে সাহায্য চেয়েছিলেন। এরপর, আমেরিকা দোহার আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি, আবুধাবির আল ধফরা এবং মেরিল্যান্ডের বেথেসডা থেকে বিশেষ দল পাঠায় সাহায্যের জন্য। তবে গত কয়েক মাসে সেই ক্ষয়ক্ষতির বেশিরভাগটাই সারিয়ে তোলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.