Advertisement
Advertisement
Sudan

বাস্তুহারাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ড্রোন হামলা! গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সুদানে মৃত অন্তত ৬০

২০২৩ সাল থেকে গৃহযুদ্ধে উত্তপ্ত সুদান।

Over 60 killed as drone strike hits displacement shelter in western Sudan
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:October 11, 2025 6:11 pm
  • Updated:October 11, 2025 6:11 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সুদান। শনিবার বাস্তুহারাদের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালাল আধাসেনা র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (RSF)। এই হামলায় কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, নিরস্ত্র মানুষের উপর নৃশংস এই হামলা চালানো হয় পশ্চিম সুদানের আল-ফাশির এলাকায়।

Advertisement

রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, গত তিন দিন ধরে লাগাতার হামলা চালানো হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের উপর। নিশানা করা হচ্ছে হিংসার জেরে ঘরছাড়া অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে। আরএসএফের তরফে এই হামলা চালানো হয়, আবু শৌক, দারাজা অউলা এবং আল-ফাশিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষের উপর। রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, আশ্রয় কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি হামলা চালানো হয়েছে ওই অঞ্চলের হাসপাতাল ও মসজিদেও।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে গৃহযুদ্ধে উত্তপ্ত সুদান। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীরই দুই জেনারেল- আবদেল আল ফতা আল বুরহান ও জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালো। প্রথম জন সুদানের সেনাপ্রধান এবং ২০১৯ থেকে দেশের সর্বোচ্চ শাসনব্যবস্থার জন্য ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলের প্রধান। দ্বিতীয় জন দেশের আধাসামরিক বাহিনী ‘র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’ (আরএসএফ)-এর প্রধান তথা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য। দুজন জেনারেলের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার ভঙ্গ, লুটতরাজ, নৃশংসতা ও ধর্ষণে মদতের অভিযোগ রয়েছে। গত বছর এপ্রিলের ১৫ তারিখ থেকে চলা লড়াইয়ে যুযুধান দুই পক্ষের কেউই সংঘর্ষবিরতি মানছে না। রক্তক্ষয়ী ক্ষমতার লড়াইয়ে পশ্চিমের দারফুর প্রদেশে কয়েকশো মানুষ নিহত হয়েছেন। রাজধানী খারতুমেও প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। যুদ্ধের জেরে ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত।

ভয়াবহ সেই পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। জাতিগত হিংসার জেরেই শনিবারের এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সুদানকে কার্যত নরকে পরিণত করার ফলে আরএসএফ এবং সুদানের সামরিক বাহিনী উভয়ই বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অভিযুক্ত। রাষ্ট্রসংঘের তরফে বারবার এই দুই সেনাবাহিনীকে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ থামানোর আবেদন জানানো হলেও কেউ তা কানে তোলেনি। বরং আন্তর্জাতিক আইনকে উপেক্ষা করে লাগাতার নাগরিকদের হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এদের বিরুদ্ধে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ