সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও পাক সরকারের জঙ্গিযোগের হাতেগরম প্রমাণ মিলল। একই মঞ্চে পাক মন্ত্রীদের পাশে বসে থাকতে দেখা গেল লস্কর-ই-তইবার শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বকে। তাদের মধ্যে একাধিক জঙ্গিনেতা রয়েছে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়। জঙ্গিনেতাদের ডেকে ‘পাকিস্তান রক্ষায়’ তাদের ভূমিকাকেও কুর্নিশ জানিয়েছেন পাকিস্তানের মন্ত্রীরা।
গত বুধবার ইয়ুম-ই-তকবিরের একটি অনুষ্ঠানে দেখা যায়, মঞ্চে রয়েছেন পাকিস্তানের খাদ্যমন্ত্রী মালিক রশিদ আহমেদ খান এবং পাঞ্জাব প্রদেশের স্পিকার মালিক মুহম্মদ আহমেদ খান। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দু’জনেই। ওই মঞ্চেই দেখা যায়, লস্কর নেতা হাফিজ সইদের পুত্র তালহা সইদ, সইফুল্লা কাসুরি (পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী), আমির হামজার মতো লস্কর জঙ্গি। একেবারে মন্ত্রীদের পাশে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে তাদের।
অনুষ্ঠান চলাকালীন দেখা যায়, লস্কর জঙ্গিনেতাদের মঞ্চে বরণ করে নিয়েছেন পাক মন্ত্রী। তারপর বক্তৃতা দিতে উঠে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “হাফিজ সইদের মতো ব্যক্তিরাই আজ ২৪ কোটি পাকিস্তানির প্রতিনিধি। পাকিস্তানকে রক্ষা করতে তাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়।” ওই মঞ্চ থেকেই মন্ত্রী জানান, মুরিদকেতে লস্কর ক্যাম্পে ভারতের হানায় যে লস্কর কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছে তার ভাইকে চাকরি দেবে শাহবাজ সরকার।
প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানের দিনই পাকিস্তানে প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী সভা করেছিল সইফুল্লা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাসুরি বলে, “আমাকে পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী বলে দোষ দেওয়া হচ্ছে, এখন আমার নাম গোটা পৃথিবীতে বিখ্যাত।” ভারতের তদন্তকারীদের ধারণা, পাহেলগাঁয়ের হামলার প্রধান সমন্বয়কের কাজ করেছিল লস্কর কমান্ডার কাসুরি। আড়াল থেকে সেই সাজিয়েছিল নিরস্ত্রদের উপর নৃশংস হামলার ঘুঁটি। এই ঘটনা ফের প্রমাণ করল ভারতের দাবি কতটা সত্যি। পাকিস্তান কেবল সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করে না, বরং দেশটি জঙ্গিবাদের কারখানা হয়ে উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.