ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাথার উপর ঋণের পাহাড়। অনাহারে ধুঁকছে দেশ। তাতে অবশ্য কুছ পরোয়া নেই পাকিস্তানের। দেশ রসাতলে গেলেও যুদ্ধের প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চান না যুদ্ধবাজ শাহবাজ শরিফ। সেই লক্ষ্যেই চলতি আর্থিক বর্ষে প্রতিরক্ষা বাজেট ২০ শতাংশ বাড়াল পাকিস্তান। মঙ্গলবার পাক সাংসদে পেশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট। সেখানে দেশের সার্বিক উন্নয়নের খরচ ৭ শতাংশ কমিয়ে ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়ানো হয়েছে প্রতিরক্ষা খাতের খরচ।
পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুরকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতের পর ভিক্ষার বাটি হাতে বিশ্বের দোরে দোরে ঘুরেছে পাকিস্তান। ভিক্ষা মিলেছে আইএমএফ ও এডিবি-এর থেকে। তবে শুরু থেকে পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল ভারত। অভিযোগ তোলা হয়েছিল, এই অর্থ ঘুরপথে পৌঁছে যাবে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির কাছে। ভারতের সেই অভিযোগই এবার মান্যতা পেল পাক সংসদের বাজেটে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বৃদ্ধির অর্থ শুধু যুদ্ধাস্ত্র কেনা নয়, ঘুরপথে পাকিস্তানের মাটিতে দুধ কলা দিয়ে পোষা সন্ত্রাসবাদকে মদত। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানকে ৮৫০০ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করেছিল আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল বা আইএমএফ। সেই সময় আইএমএফের তরফে যে শর্ত পাকিস্তানকে দেওয়া হয় এই প্রতিরক্ষা বাজেট সেই শর্ত লঙ্ঘন করছে বলেও অভিযোগ উঠছে।
এদিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করা পাকিস্তানের বাস্তব সত্য সম্প্রতি তুলে ধরেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। তাঁদের রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানে চরম আকার নিয়েছে দারিদ্র। ৪৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক জনগণ দরিদ্র। এছাড়া ১৬ শতাংশ মানুষ এতটাই গরিব যে তাঁদের দু’বেলা খাবার জোটে না। বাজেট পেশের আগে সরকারের তরফে দেশের আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, কীভাবে গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবে রয়েছে পাকিস্তান। মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ২৩ লক্ষ কোটি টাকা। যা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ইতিহাসে নয়া রেকর্ড। এহেন চরম দুর্দশার মাঝেও পাকিস্তান সরকারের এই প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি প্রশ্ন তুলছে প্রতিবেশী দেশের মানসিকতা নিয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.