Advertisement
Advertisement
Pakistan

‘প্রয়োজনে সৌদি আরবকে পরমাণু অস্ত্রও দেব’, প্রতিরক্ষা চুক্তির পর বিবৃতি পাকিস্তানের

বিশ্বের একমাত্র পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তানের এই চুক্তি চিন্তা বাড়াবে ইজরায়েলের।

Pakistan says its nuclear programme can be made available to Saudi Arabia under defence pact
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 19, 2025 7:35 pm
  • Updated:September 19, 2025 7:35 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মার খেয়ে গোটা মুসলিম বিশ্বকে নিজের দিকে টানতে উঠেপড়ে লেগেছে পাকিস্তান। সেই লক্ষ্যে সম্প্রতি সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পন্ন করেছে তারা। দাবি উঠেছে, ইজরায়েলকে রুখতে সমস্ত মুসলিম বিশ্বকে একজোট করে ‘ইসলামিক ন্যাটো’ গঠনের। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর তরফে বার্তা দেওয়া হল, “যদি প্রয়োজন পড়ে তবে সৌদি আরবকে পাকিস্তান নিজের পারমাণবিক কর্মসূচিতে প্রবেশাধিকার দেবে।”  অশান্ত মধ্যপ্রাচ্যে পাক ও সৌদির এই চুক্তি ইজরায়েলের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

Advertisement

সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তান যে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে তার ভিত্তিতে, দুই দেশের কারও উপর যদি শত্রু হামলা হয়, তাহলে সেই হামলা দুই দেশের উপর হামলা বলে বিবেচিত হবে। একে অপরের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সামগ্রী বিনিময় করবে দুই দেশ। বৃহস্পতিবার রাতে এই চুক্তি প্রসঙ্গে পাক সংবাদমাধ্যম জিও টিভিকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এই চুক্তির বলে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের প্রতিরোধ ক্ষমতা কী সৌদি আরবের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যাবে? উত্তরে আসিফ বলেন, “আমি পাকিস্তানের পরমাণু ক্ষমতার বিষয়ে একটি কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে, এই মারণাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এই মহাশক্তির অধিকারী হয়েছি। আমাদের কাছে যা কিছু রয়েছে, যেটুকু ক্ষমতা রয়েছে তা এই চুক্তির সঙ্গে সঙ্গে সৌদি আরবের কাছেও তা উপলব্ধ।”

উল্লেখ্য, গত বুধবার পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি আরবের প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমনের প্রতিরক্ষা চুক্তি সাক্ষর হয়। এর পরই যৌথ বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, “উভয় দেশের কারও বিরুদ্ধে যে কোনওরকম আগ্রাসনকে উভয়ের উপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। বিবৃতি অনুসারে, এই চুক্তি সৌদি আরব এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় আট দশকের পুরনো ঐতিহাসিক অংশীদারিত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরি। যা ভ্রাতৃত্ব এবং ইসলামী সংহতির বন্ধনের পাশাপাশি নিজেরদের কৌশলগত স্বার্থ এবং দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।

তবে এই চুক্তি ইজরায়েলকে নজরে রেখে সাক্ষর করা হয়েছে বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের। বর্তমানে মুসলিম রাষ্ট্রগুলির ত্রাস হয়ে উঠেছে ইজরায়েল। প্যালেস্টাইনের পাশাপাশি গত কয়েক মাসে তাদের হামলার মুখে পড়েছে ইরান, লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন এমনকী কাতারও। এই অবস্থায় বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর একমাত্র দেশ হল পাকিস্তান। তারা যদি নিজেদের পরমাণু শক্তি সৌদি আরবের সঙ্গে ভাগ করে নেয় তবে মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েলের জন্য তা নিঃসন্দেহে ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে, পাকিস্তান ভারতের চিরকালিন শত্রু হলেও সৌদি আরবের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে ভারতের। এই চুক্তি ভারতের জন্যও যথেষ্ট চিন্তার।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement