সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার শান্তির নোবেলের জন্য নাম ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু পরের দিনই ইরানের উপর বোমা ফেলার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তুলোধোনা করল শাহবাজ শরিফের দেশ। পাক বিদেশমন্ত্রীর তরফে বিবৃতি দিয়ে মার্কিন আচরণের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা ফেলেছে আমেরিকা।
শনিবারই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম সুপারিশ করে বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তান। পাক সরকারের তরফে সোশাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট বলা হয়, কৌশলী কূটনীতিতে ভারত ও পাকিস্তান, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সমঝোতায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর হস্তক্ষেপেই সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হয়েছে। তাই ২০২৬ সালের নোবেল পাওয়ার সবচেয়ে যোগ্য দাবিদার মার্কিন প্রেসিডেন্টই। যদিও পাক প্রস্তাবের পর ট্রাম্প আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন, “ওরা আমাকে নোবেল দেবে না। ওটা শুধু উদারবাদীদের দেওয়া হয়।”
এই ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ইরানে বোমাবর্ষণ করেছে আমেরিকা। ভারতীয় সময় রবিবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সোশাল মিডিয়া পোস্টে বলেন, আমেরিকা ইরানের তিনটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। ইরানের ওই তিন পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রগুলি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে মার্কিন সেনা। অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত এই ধরনের অভিযান চালাতে পারেনি। আর কোনও সেনার পক্ষে এটা সম্ভবও হত না। সঙ্গে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, ইরানের আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় আমেরিকা নিশানা সেধে রেখেছে।
কিন্তু ‘বন্ধু’ ইরানের উপর ট্রাম্পের সেনার এমন হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ইসলামাবাদ। রবিবার হামলার খবর প্রকাশ্যে আসতেই পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘ইরানে ইতিমধ্যেই আগ্রাসন চলছিল। তার মধ্যে এমন অপ্রত্যাশিত প্রত্যাঘাতের জেরে ওই এলাকায় অস্থিরতা আরও বাড়বে। গোটা বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। আগামী দিনে এভাবে উত্তেজনা বাড়লে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।’ ইরানের উপর এমন হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী বলেই দাবি করেছে পাকিস্তান। তবে গোটা বিবৃতিতে একবারও ট্রাম্প বা আমেরিকার নাম উল্লেখ করেনি ইসলামাবাদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.