সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের এয়ারস্ট্রাইকে পাকিস্তানের কোনও ক্ষতি হয়নি। বরাবর এই দাবি করে আসছে পাক সরকার। পাকিস্তান সেনার দাবি, ভারতীয় বিমান হানায় বালাকোটের কোনও নির্মাণস্থলে কোনও ক্ষতি হয়নি বা কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। অথচ, সেই পাকিস্তানই বালাকোটের জইশ পরিচালিত মাদ্রাসায় সংবাদমাধ্যমকে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না। আসলে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হামলায় ওই মাদ্রাসাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করছে বেশ কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। পাক সরকার সেকথা স্বীকার না করলেও, সংবাদমাধ্যমকে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় এই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আড়াল করতেই মাদ্রাসায় ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না পাকিস্তান?
ভারতের এয়ারস্ট্রাইকে জইশ পরিচালিত ওই মাদ্রাসাটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে এক সূত্রে খবর। বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে বিবৃতি দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ভারতের হানায় বড় সংখ্যার জইশ জঙ্গি, প্রশিক্ষক এবং জেহাদির মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম ঠিক তার উলটো কথা বলেছে। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও দাবি করেছে এয়ারস্ট্রাইকে তেমন ক্ষতিই হয়নি পাকিস্তানের। এসব সত্যতা যাচাই করতে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্সের একটি দল বালাকোটে জইশ পরিচালিত ওই মাদ্রাসাটিতে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে রয়টার্সের সাংবাদিক দলকে সেখানে যেতে দেওয়া হল না।
এই প্রথম নয়, এর আগেও একবার ওই মাদ্রাসাটিতে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল রয়টার্সের দলটি। তখনও অনুমতি দেওয়া হয়নি নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে। অথচ, ওই এলাকার গ্রামগুলিতে সাংবাদিকদের ঘোরার ব্যাপারে কোনও আপত্তি করেনি প্রশাসন। তাহলে, শুধুমাত্র মাদ্রাসাতেই নিরাপত্তার অভাব হবে কেন? তবে কি কোনও কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান? এসব প্রশ্ন উঠছেই।
উল্লেখ্য, এর আগে রয়টার্সের সাংবাদিকরা ১০০ মিটার দূর থেকে জঙ্গিদের মাদ্রাসাটি দেখতে পেয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে সংবাদসংস্থাটির তরফে। রয়টার্সের দাবি, বাইরে থেকে দেখে বোঝা যাচ্ছে না আদৌ বিল্ডিংটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যে বিল্ডিংয়ের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে আগে মাদ্রাসা ছিল। তবে বেশ কিছুদিন আগেই তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি মাদ্রাসাটির হাই রেজোলিউশন স্যাটেলাইট ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বিল্ডিংটি এখনও কার্যত অক্ষতই আছে। তবে, ওই ছবি দেখেও বোঝার উপায় নেই যে আদৌ বিন্দুমাত্র ক্ষতিও হয়েছে কিনা। সব মিলিয়ে গোলকধাঁধার মধ্যে, সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রহস্য আরও বাড়িয়ে তুলছে খোদ পাক প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.