সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গবেষণাগারের কাছে খোলা জায়গায় কুমির পুষে রেখেছিলেন। সেটাই কাল হল। ইন্দোনেশিয়ায় এক মহিলা বিজ্ঞানীকে খুবলে খেল তাঁরই পোষ্য কুমির। ওই বিজ্ঞানীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন তাঁর সতীর্থরা। ঘটনার হতবাক সকলেই।
[লক্ষ্যপূরণে ‘ব্যর্থ’, কর্মীদের এমনই শাস্তি দিল চিনা সংস্থা]
ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুলাওয়েশির মিনাহাসা ফার্মে দীর্ঘদিন ধরেই কুমিরদের উপর গবেষণা চালাচ্ছিলেন বছর চুয়াল্লিশের ডেসি তুউও। গবেষণাগারের কাছে একটি খোলা জায়গায় ছিল বেশ কয়েকটি কুমির। একটি কুমিরকে আবার পুষতেন ওই মহিলা বিজ্ঞানী। ওই কুমিরটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৪ ফুট। অস্ত্রোপচারের পর প্রাণীটির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখতেন ডেসি ও তাঁর সতীর্থ।স্থানীয় সংরক্ষণ সংস্থার সদস্য হেড্রিক রান্ডেঙ্গান জানিয়েছেন, কোনওভাবে খোলা জায়গায় কুমিরের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন ডেসি। তখনই তাঁকে আক্রমণ করে সরীসৃপটি। একটি হাত ও পেটের বেশিরভাগটাই খেয়ে ফেলে সে। শেষপর্যন্ত কুমিরের এনক্লোজার থেকে ওই মহিলা বিজ্ঞানীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেন তাঁর সতীর্থরা। তবে ডেসির শরীরের খানিকটা অংশ এখনও কুমিরের পেটেই রয়ে গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। প্রায় ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় ঘাতক কুমিরটিকে গবেষণাগার লাগোয়া এনক্লোজার থেকে সরিয়ে ফেলা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, অবৈধভাবে ব্যক্তিগত মালিকানায় রাখা হয়েছিল সরীসৃপটিকে। এবার তাকে কুমির সংরক্ষণের এলাকায় স্থানান্তরিত করা হবে।
এদিকে মহিলা বিজ্ঞানী ডেসি তুউওয়ের এমন নির্মম পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না তাঁর সহকর্মীরা। হেড্রিক রান্ডেঙ্গান বলেন, ‘এত নির্মম মৃত্যু হবে ভাবতে পারেনি। ডেসির দেহ যখন উদ্ধার হয় তার দু’টো হাত ছিল না, পেটের বেশ কিছুটা অংশ খুবলে খাওয়া। মুখও বিকৃত ছিল। চেনাই যাচ্ছিল না।”
[ ফার্স্ট ক্লাসের দামে ইকোনমিক ক্লাসের টিকিট! পোয়াবারো যাত্রীদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.