Advertisement
Advertisement
মডের্না করোনা

আশার আলো! ‘করোনা ভ্যাকসিনে’র প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফল, দাবি মার্কিন সংস্থার

আগামী ২৭ জুলাই 'ভ্যাকসিন'টির দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করবে মার্কিন সংস্থাটি।

Phase 1 results show Covid-19 vaccine safe, Claims Moderna
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 15, 2020 10:59 am
  • Updated:July 15, 2020 11:05 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনদিন দাপট বাড়িয়ে চলছে COVID-19। প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ভাইরাসের কবলে পড়ছেন। এরই মধ্যে করোনার প্রতিষেধক নিয়ে আশার বাণী শোনা গেল। রাশিয়ার গামালেই ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির পর এবার আমেরিকার গবেষণা সংস্থা দাবি করল, তাঁদের তৈরি ‘করোনা ভ্যাকসিনের’ প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল সফল হয়েছে। আগামী ২৭ জুলাই এই ‘ভ্যাকসিনটি’র চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা হবে। এই পরীক্ষায় সফল হলেই সেটিকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

Advertisement

গত ১৬ মার্চ বিশ্বের প্রথম সংস্থা হিসেবে করোনা ভাইরাসের ‘ভ্যাকসিন’ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করে মডের্না (Moderna Inc)। প্রথম পর্যায়ে মোট ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ‘ভ্যাকসিনের’ ডবল ডোজ দেওয়া হয়। মার্কিন সংস্থাটির দাবি, ‘প্রথম পর্যায়ের সেই ট্রায়াল সফল হয়েছে। যাদের শরীরে এই ‘ভ্যাকসিন’ প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের তুলনায় বেড়েছে। তাছাড়া যাদের উপর পরীক্ষা হয়েছিল, তাঁদের কারও শরীরেই তেমন গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। সামান্য মাথাযন্ত্রণা, বমিভাব, খিঁচুনি এবং ব্যাথা ছাড়া আর কোনও সমস্যাই দেখা যায়নি।” মডের্না জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল পাওয়ার পর, আগামী ২৭ জুলাই তাঁরা ‘ভ্যাকসিন’টির চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করবে। সাধারণ পরিবেশে মনুষ্য শরীরে এটি কতটা কার্যকর, তা খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ্য, আমেরিকা সরকার এই সংস্থাটির ‘ভ্যাকসিন’ নিয়ে আশাবাদী। ইতিমধ্যেই তাঁরা মডের্নাকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে।

[আরও পড়ুন: করোনার সঙ্গে দাপট দেখিয়ে ফিরছে ইবোলা ভাইরাস, কামড় বসিয়েছে আফ্রিকার এই দেশে]

মডের্না’র আগেই অবশ্য রাশিয়ার গবেষকরা করোনার ‘ভ্যাকসিনের’ প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের সাফল্য দাবি করেছেন। গত সপ্তাহেই মস্কোর সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করেছে, মানব শরীরে করোনার ‘ভ্যাকসিনের’ প্রয়োগ সফল হয়েছে। রাশিয়ার গামালেই ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি করোনার এই ‘ভ্যাকসিন’টি তৈরি করেছে। গত ১৮ জুন সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়। তাঁরাও এই ‘ভ্যাকসিনটি’র দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ