Advertisement
Advertisement
PM Modi

এসসিও বৈঠকের আগেই মুখোমুখি মোদি-জিনপিং, ট্রাম্প-বিরোধিতায় আরও কাছাকাছি হাতি ও ড্রাগন?

রবিবার চিনের তিয়ানজিনে শহরে বৈঠকে বসলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং নরেন্দ্র মোদি।

PM Modi holds bilateral talks with xi jinping on sunday
Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:August 31, 2025 9:49 am
  • Updated:August 31, 2025 10:07 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাত বছর পরে ড্রাগনের দেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার চিনের তিয়ানজিনে শহরে বৈঠকে বসলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং নরেন্দ্র মোদি। কাজানের শেষ বৈঠক যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকেই রবিবারের ৪০ মিনিটের এই বৈঠক শুর হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

মোদি, জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্ভাব্য বৈঠক ঘিরে উত্তেজনার বাড়ছে চিনের এই বন্দর শহরে। ট্রাম্পের শুল্ক বোমার মাঝে এই নতুন বন্ধুত্ব পারদ চড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের।

২০১৮ সালে মোদির শেষ উহান সফরের সময় দুই দেশের সম্পর্কের টানাপড়েন ছিল চরমে। ডোকলাম অচলাবস্থা পেরিয়ে, এবার পরিস্থিতি আলাদা। ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য নীতির ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার সম্ভাবনার মাঝেই ভারত ও চিন তাদের সম্পর্ক শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, করেছেন ভারত-মার্কিন সম্পর্ক দুর্বল করার চেষ্টা করতে পারে চিন এবং ভারতকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। চিনের এই প্রচেষ্টা দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ নয় বরং একটি সতর্ক পুনর্মিলনের প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন তাঁরা।

এই শীর্ষ সম্মেলনে শি এবং পুতিনের পাশে মোদির ছবি ট্রাম্পের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সপ্তাহে, রুশ তেল কেনায় ভারতের উপর আক্রমণ তীব্র করেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা পিটার নাভারো দাবি করেন ইউক্রেন সংঘাত মূলত ‘মোদির যুদ্ধ’। যদিও মূল নজর থাকবে ভারত-চিন বৈঠকের উপর।

২৫ তম এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান পৌঁছায় চিনের তিয়ানজিন শহরে। এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান, ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেস্কিয়ান ও উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জন উন। সন্ত্রাস, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থার মতো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০টি সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল এসসিও। তবে সময় বদলেছে। সমসাময়িক বিশ্বকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উদ্দেশ্যও যোগ হয়েছে এসসিওতে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নিজেদের মধ্যেকার সমস্যাকে পিছনে ফেলে বৃহত্তর স্বার্থে এই মঞ্চ থেকেই একত্রে চলার শপথবাক্য পাঠ করতে পারেন এশিয়ার নেতারা। সেক্ষেত্রে আমেরিকাকে পাশ কাটিয়ে বিশ্ব দেখবে গ্লোবাল সাউথের জয়ধ্বজা। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ