Advertisement
Advertisement
Modi

সমুদ্রের রাজা কে? মোদিতেই চিন বধের অস্ত্র খুঁজছে আমেরিকা!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন আমেরিকা সফর নিয়ে চলছে জোর চর্চা।

"PM Modi, President Biden to discuss Indo-Pacific, elevate ...": White House | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 8, 2023 9:42 am
  • Updated:June 8, 2023 9:42 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন আমেরিকা সফর নিয়ে চলছে জোর চর্চা। গুজরাট দাঙ্গার ‘দাগ’ থাকায় একসময় নমোকে ভিসা না দিলেও আজ তাঁকে কাছে পেতে মরিয়া ওয়াশিংটন। বিশ্লেষকদের ধারণা, সমুদ্রের দখল নিতে ও ‘ড্রাগন বধ’ করার উদ্দেশ্যেই এহেন ভোলবদল ‘আঙ্কেল স্যামে’র।

Advertisement

আগামী ২২ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। সেই সফরের আগেই ভারত ও মোদি স্তুতি শোনা যাচ্ছে শীর্ষ মার্কিন কর্তা কার্ট ক্যাম্পবেলের মুখে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, হোয়াইট হাউসের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক সমন্বয়কারী পদে রয়েছেন কার্ট। এই প্রেক্ষাপটে বুধবার এক বিবৃতি জারি করেছে হোয়াইট হাউস। সেখানে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। তবে কৌশলী শব্দচয়নের নেপথ্যে বাইডেন প্রশাসনের চিন উদ্বেগ লুকিয়ে তা স্পষ্ট। বিশেষ করে, ইন্দো-প্যাসিফিক বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘ড্রাগনে’র আগ্রাসনে ওয়াশিংটন যে সিদুঁরে মেঘ দেখছে তা স্পষ্ট। আর তাই চিনকে শায়েস্তা করতে ভারতই এখন আমেরিকার তুরুপের তাস।

এদিন এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারিন জিন পিয়ের বলেন, “দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করার উদ্দেশ্যে আলাপ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুক্তবাণিজ্য বৃদ্ধি ও নৌচালনার স্বাধীনতা বজায় রাখতে যৌথ উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা হবে। এছাড়া, গ্রিম এনার্জি ও মহাকাশ গবেষণা নিয়েও কথা বলবেন তাঁরা।”

[আরও পড়ুন: রণদামামার মাঝেই সার্বিয়ায় রাষ্ট্রপতি মুর্মু, কী বার্তা দিচ্ছে ভারত?]

উল্লেখ্য, বিশ্বে মার্কিন আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে চিন। উদ্বেগ উসকে ইন্দো-প্যাসিফিক বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমে আগ্রাসী হয়ে উঠছে ‘ড্রাগন’। কৃত্রিম দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করছে তারা। ফলে বিপন্ন ‘ওপেন ট্রেড রুট’ বা মুক্ত বাণিজ্যপথ। লাল ফৌজের তৎপরতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। গত মার্চ মাসে নাম না করে বেজিংকে কড়া বার্তা দিয়েছে কোয়াড গোষ্ঠী। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারত মিলে তৈরি হয়েছে ‘কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ’ বা কোয়াড (QUAD) জোট।

বিশ্লেষকদের মতে, মূলত চিনকে নজরে রেখেই একজোট হয়েছে চারটি দেশ। মার্চে দিল্লিতে জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে আলোচনায় বসেন কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের তত্ত্বাবধানে ওই বৈঠকে অংশ নেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওং এবং মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক যৌথ বিবৃতিতে কোয়াড সাফ জানায়, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর কোয়াড।

[আরও পড়ুন: ‘ভারত সব জায়গা থেকে জয়ী হয়ে ফিরছে, দেখে সবার শেখা উচিত’, বলছেন পাক ব্যবসায়ী]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ