ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অধিকৃত কাশ্মীর নিজে থেকেই একদিন বলবে আমি ভারতের’, সম্প্রতি এমনই বার্তা দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। অল্পদিনের মধ্যে তারই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল অধিকৃত কাশ্মীরে। পাকিস্তানের শাহবাজ সরকারের বৈমাতৃসুলভ আচরণের জেরে ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে অধিকৃত কাশ্মীর (POK)। এরই প্রতিবাদে পিওকেজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিলেন নীলম ভ্যালি পাবলিক অ্যাকশন কমিটির নেতা শওকত নওয়াজ মির।
পাক সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভে ফুঁসছে অধিকৃত কাশ্মীর। অভিযোগ, গোটা অঞ্চলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো ও পানীয় জলের অভাব গুরুতর। বারবার দাবি জানানো হলেও সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সরকারি কাজে অবহেলা, দুর্নীতি, ঘুষ মাত্রাছাড়া আকার নিয়েছে। এর বিরুদ্ধে সমগ্র অধিকৃত কাশ্মীর জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন মির। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে পাকিস্তানের। কড়া হাতে বিক্ষোভ দমন করতে উঠেপড়ে লেগেছে পাক সরকার। নীলম ভ্যালি পাবলিক অ্যাকশন কমিটির মুখপাত্র মির বলেন, ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করেছে। সরকার যদি এভাবে জনগণকে অবহেলা করে তবে তার প্রতিক্রিয়া তো আসবেই।
অন্যদিকে প্রশাসনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে কোনওরকম ধর্মঘট বরদাস্ত করা হবে না। যদিও ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের পাশাপাশি স্থানীয় আইনজীবীরাও ধর্মঘটের সমর্থনে বার্তা দিয়েছেন। পাবলিক অ্যাকশন কমিটিকে সমর্থন জানিয়ে মুফতিবাদের একজন প্রবীণ আইনজীবী বলেন, প্রশাসনের উচিত জনগণের দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া তাদের দমন করা নয়। ধর্মঘট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। এই ধর্মঘটে সব শ্রেণির মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে অধিকৃত কাশ্মীরে নতুন করে বিক্ষোভের আগুন চাপ বাড়াচ্ছে পাকিস্তানের।
উল্লেখ্য, চলতি মাসে মরক্কো সফরে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাজনাথ সিং। জানিয়েছিলেন, “আমাদের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কোনও হামলা চালানোর প্রয়োজন নেই। ওটা আমাদেরই। পিওকে একদিন নিজে থেকেই বলবে আমি ভারতের অংশ।” একইসঙ্গে বলেন, “সেখানকার মানুষই বর্তমান প্রশাসনের থেকে স্বাধীনতার দাবি তুলেছেন। পিওকের সেই স্লোগান আপনারাও নিশ্চয়ই শুনেছেন।” ফের একবার সেই ধ্বনিই শোনা গেল পিওকেতে। পাক সরকারের শাসনে দিন দিন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে অধিকৃত কাশ্মীর। এই অবস্থায় পাক সরকারের শাসনে থাকতে নারাজ সেখানকার জনগণ। গতবছরও অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্তি পেতে তীব্র আন্দোলন শুরু করেন। যদিও কঠোরভাবে তাঁদের দমন করে পাক সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.