সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনের রাজ পরিচয় ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মর্কেল। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ পরিবারের অন্য সদস্যরা। ‘হঠকারী’ এই সিদ্ধান্তের জেরে তাঁদের বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। যদিও ঘরোয়া সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্বস্ত আধিকারিকদের মেগান ও প্রিন্সের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তবে সেই আলোচনার আগেই সাসেক্স ছেড়ে কানাডায় পাড়ি দিলেন মেগান মর্কেল। রাতেই রওনা দিচ্ছেন প্রিন্স হ্যারিও। ফলে ব্রিটেনের রাজ পরিবারের এই সমস্যা আদৌ মিটবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।এদিকে মেগান ও হ্যারির এই ঘোষণার পরই মাদাম ত্যুসোর মিউজিয়াম থেকে সরানো হল তাঁদের মোমের মূর্তি। রাজ পরিবারের মূর্তির সারিতে তাঁদের মোমের স্ট্যাচু আর থাকবে না বলে মাদাম ত্যুসো মিউজিয়াম থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে।
We’ve got to respect their wishes 🤷♂️
— Madame Tussauds London (@MadameTussauds)
চার্লস-ডায়নার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়ম এবং প্রিন্স হ্যারির মধ্যে সদ্ভাব বিশেষ না থাকলেও, কোনও শত্রুতা সেভাবে চোখে পড়েনি। তবে রাজপরিবার ঘনিষ্ঠদের অনেকর মতেই, প্রিন্স হ্যারির বিয়ের পর মেগান মর্কেল তাঁদের পরিবারে পা রাখতেই নাকি সমস্ত কোন্দলের শুরু। দু’ভায়ের পরিবারে এমনই ঝাগড়ঝাঁটি হতে থাকে যে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত একটা সময় বন্ধ হয়ে যায়। সেই বিবাদ থামাতে আসরে নামেন স্বয়ং রানি। কিন্তু শেষপর্যন্ত ভাঙন ঠেকানো গেল না। প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মর্কেল বাড়ি থেকে বেরিয়েই গেলেন। এর জন্য পরোক্ষে পাপারাজিদের দায়ী করে গেলেন। বাকিংহাম প্যালেস থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন যে প্রচারের আলো থেকে সরে আসতে তাঁদের অনেক লড়তে হচ্ছে। অনেক নেতিবাচক খবরাখবর হচ্ছে তাঁদের ঘিরে, যা তাঁদের জীবনে প্রভাব ফেলছে। বিবৃতিতে আরও লেখা – “আমরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে চাই।এই রাজপরিবারের বাইরে বেরিয়ে সাধারণের সঙ্গে মেলামেশার যে পরিবেশ, তা উপভোগ করতে চাই। ভেবেছি, ইংল্যান্ড এবং উত্তর আমেরিকায় ঘুরিয়েফিরিয়ে সময় কাটাব। এও চাই যে রানি নিজের রাজত্ব সামলে শান্তিতে থাকুন।”
রাজ পরিবার সূত্রে খবর, গোটা ঘটনা সম্পর্কে পরিবারের বাইরে কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খোদ রানি নিজের বিশ্বস্ত আধিকারিকদের মধ্যস্থতার দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে তাঁদের বৈঠক করার কথা। কিন্ত তার আগেই মেগান ও হ্যারির দেশ আমেরিকায় পাড়ি জমানোয় পরিস্থিতি আরও জটিল হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.