সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র। খাতায়-কলমে যা এখনও বহাল ইংল্যান্ডে। এ কি রাজরাজড়াদের কৌলিন্য নাকি এখন কেবলই কাঁটার মুকুট? রাজপরিবারের সদস্যরাই বোধহয় তা একমাত্র ভালোভাবে অনুভব করতে পারেন। লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের প্রয়াত রানি এলিজাবেথ থেকে তাঁর বংশধররা সকলে কোনও না কোনও সময় রাজতন্ত্রের সুবিধা-অসুবিধা টের পেয়েছেন। চার্লস-ডায়নার ‘বিদ্রোহী’ ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি তো স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে রাজপরিবার ছেড়ে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে রয়েছেন। তা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। এবার ব্রিটিশ রাজপরিবারের বড় পুত্র তথা ভাবী রাজা প্রিন্স উইলিয়ামও কার্যত বিস্ফোরণ ঘটালেন। এক টেলিভিশন শো-র জন্য দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট বললেন, ”আমি রাজা হলে রাজতন্ত্রে বেশ কিছু নিয়ম বদল করতে চাই, ভালোর জন্য। এমন কিছু করতে চাই যার জন্য পরে আমার সন্তানরা গর্ব করবে।”
কানাডিয়ান অভিনেতা ইউজিন লেভি লন্ডনের উইন্ডসর ক্যাসেল নিয়ে একটি টিভি শো-র সঞ্চালনা করছেন। তার নাম ‘দ্য রিলাকট্যান্ট ট্র্যাভেলার’। এর জন্য সম্প্রতি প্রিন্স অফ ওয়েলস, উইলিয়ামের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন ইউজিন। সেখানে খোলামেলাভাবে অনেক কথাই বলেছেন ডায়নার বড় ছেলে। ইউজিনের প্রশ্ন ছিল, ”আপনি তো ভাবী রাজা। সিংহাসনে বসলে নিজের ভূমিকা কী হবে, ভেবেছেন কিছু?” তার জবাবে উইলিয়াম জানান, এতদিনকার ব্রিটিশ রাজতন্ত্রে তিনি বদল আনতে চান। তবে খোলনলচে বদলে দেওয়া নয়, সামান্য কিছু পরিবর্তন করতে চাই। যা হবে সকলের ভালোর জন্য। তাতে আমি ভয় পাই না। কারণ সেটা প্রয়োজন বলে মনে করি।”
এখন প্রশ্ন হল, কোন পরিবর্তনের কথা বলতে চাইছেন প্রিন্স উইলিয়াম? তা স্পষ্ট নয় এখনও। ছোটবেলার কথা স্মরণ করে তাঁর বক্তব্য, ”ছোটবেলায় আমি আর হ্যারি (ছোট ভাই)যা যা দেখে বা যেসব অভ্যাসের মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠেছি, চাই না যে এখনও সেসব অভ্যাস থাকুক।” গত বছরটা জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল বলে উল্লেখ করেছেন প্রিন্স অফ ওয়েলস। সেবার স্ত্রী কেট মিডলটন ও বাবা রাজা চার্লসের একসঙ্গে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসার জন্য তাঁদের হাসপাতালে থাকতে হয়। তবে পরবর্তী রাজা হিসেবে নিজেকে যে এখন থেকেই তৈরি করছেন, তা বেশ বুঝিয়েই দিলেন চার্লস-ডায়নার বড় ছেলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.