Advertisement
Advertisement
Probashe Durga Puja

বার্সেলোনায় দেবী বিসর্জনেও ধুমধাম! ধুনুচি নাচ, সিঁদুরখেলায় সমাপ্ত শারদোৎসব

কলকাতার সঙ্গে বার্সেলোনার মেলবন্ধনে দুর্গাপুজো এবার চতুর্থ বর্ষে পা রাখল।

Probashe Durga Puja: Bengali Cultural Association in Barcelona ends Durga Puja happlily with Sindoor Khela
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 6, 2025 2:34 pm
  • Updated:October 6, 2025 2:36 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহভর দুর্গাপুজোর রেশ ছিল বঙ্গে। চলতি সপ্তাহ শুরু হয়েছে ধনদেবীর আরাধনা দিয়ে। সোমবার লক্ষ্মীপুজো হচ্ছে বাংলার ঘরে ঘরে। তবে প্রবাসের ছবিটা একটু ভিন্ন। এখানে সদ্য শেষ হওয়া সপ্তাহেও ভরপুর ছিল দুর্গোৎসবের আমেজে।

Advertisement

স্পেনের বিখ্যাত শহর বার্সেলোনাতেই সবে ইতি পড়ল পুজোয়। একেবারে বাংলার মতোই ধুনুচি নাচ, সিঁদুরখেলার মাধ্যমে উমার বিদায়পর্ব সম্পন্ন হল। উদ্যোক্তা স্পেনের বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সদস্যদের বার্তা, বাংলার দুর্গাপুজোর আনন্দ এভাবেই গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এত আয়োজন। জানালেন বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য গৌতম রায়।

বার্সেলোনার বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিমা।

বার্সেলোনার এই দুর্গাপুজো শুরু হয় ২০২২ সালে। প্রথমে হাতে গোনা চারজনের উদ্যোগে পুজো শারদোৎসবের সূচনা হয়েছিল। তখন শোলার কাটআউটের দুর্গাপ্রতিমায় পুজো হত। যামিনী রায়ের আঁকা ছবির আদলে তা তৈরি। ২০২৩-এ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেন সফরে যান। বার্সেলোনাতেও গিয়েছিলেন। সেই সফরই যেন বার্সেলোনার প্রবাসী বাঙালিদের বাঙালিয়ানায় মেতে ওঠার অনুপ্রেরণা ছিল। সেই আবেগকে অবলম্বন করেই শক্ত ভিতের উপর দাঁড়ায় সেখানকার বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পুজো।

দশমীতে মহিলাদের ধুনুচি নাচ।

এবছর কুমোরটুলি থেকে অর্ডার দিয়ে দুর্গাপ্রতিমা বানানো হয়েছিল। জাহাজপথে তা নিয়ে যাওয়া হয় বার্সেলোনায়। এই পুজোয় এবার শামিল হয়েছিলেন প্রায় ৩০০ জন। তাঁরা সকলেই যে স্পেনের, তা নয়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বন্ধু, আত্মীয়রাও গত সপ্তাহান্তে শারদোৎসবের আনন্দ ভরপুর উপভোগ করেছেন। এসব জানালেন বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য গৌতম রায়।

দেবীবরণ, উমা বিদায়ের পালা।

রবিবার, উমার বিদায়বেলাতেও সেই আনন্দে এতটুকু ছেদ পড়েনি। মহিলারা দেবীবরণ, সিঁদুরখেলা, ধুনুচি নাচে মেতেছিলেন। আর পুরুষরা প্রবাস জীবনে স্বদেশি বন্ধুদের কাছে পেয়ে আড্ডায় মেতে ওঠেন। দেবীবরণের পর চলে মিষ্টিমুখ। বাংলার দুর্গাপুজো যে কতটা রঙিন, এসব টুকরো ছবিই তার প্রমাণ। আর সাগরপাড়েও সেই রং ছড়িয়ে দেওয়ার অভিপ্রায় নিয়ে একটু একটু করে এগিয়ে চলেছে বার্সেলোনার বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। আবার এক বছরের অপেক্ষা। হয়ত আরও সমারোহে এখানে শারদোৎসব হবে। হয়ত ইউরোপবাসীও কয়েকটা দিনের জন্য মনেপ্রাণে বাঙালি হয়ে উঠবে।

সিঁদুরখেলার পর ছবি তোলা তো মাস্ট! গ্রুপ ছবিতে বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের মহিলা সদস্যরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ