Advertisement
Advertisement
Probashe Durga Puja

প্রথা ভেঙে নীরব বিপ্লব! মেলবোর্নে দেবী বন্দনায় পৌরোহিত্যে নারী

দুর্গোপুজোয় মহিলা পুরোহিতের অন্তর্ভুক্তি আধুনিকতার বার্তাবহ।

Probashe Durga Puja Durga Puja Preparation in Melbourne Australia
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:September 18, 2025 4:57 pm
  • Updated:September 18, 2025 5:14 pm  

স্বস্তিকা গাঙ্গুলী, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া: দুর্গাপূজা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব মাত্র নয়! বরং একটি সাংস্কৃতিক উদযাপন। পুজোর আচার-অনুষ্ঠান সাধারণত পুরুষ ব্রাহ্মণ পুরোহিতই সম্পন্ন করেন। তাঁরা সংস্কৃত মন্ত্রপাঠে পাঁচ দিন ধরে দেবীর আরাধনা করেন। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে নীরব বিপ্লব শুরু হয়েছে। প্রথা ভেঙে মহিলাদেরও পুরোহিতের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। কলকাতা এবং জেলার পুজোতে এই পরিবর্তন চোখে পড়ছে। সেখানে সংস্কৃত এবং বৈদিক রীতিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলারা পুরোহিতের কাজ করছেন। এই প্রবণতাই সীমান্ত ডিঙিয়ে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ শেন ওয়ার্নের দেশের মেলবোর্ন শহরের প্রতিভা মেরন্ডা দুর্গোৎসব। প্রবাসের এই পুজোয় পুরোহিতের কাজটা করেন ড. মধুমতী চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement
Probashe Durga Puja Durga Puja Preparation in Melbourne Australia
সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আয়োজন।

কীভাবে শুরু হল ব্যাপারটা? মধুমতীর বাড়িতে এসেছিলেন এক বন্ধু। তিনি জানান, তাঁদের এলাকার ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে একটিও দুর্গাপুজো হয় না। এরপরই নিজের বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন মধুমতী। আরেক বন্ধুর সঙ্গে কুমারটুলিতে গিয়ে প্রতিমা বেছে নেন, যদিও পুরোহিত মিলছিল না। মেলবোর্নে যে ক’জন পুরোহিত ছিলেন তাঁরা অন্য পুজোতে ব্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইনে পৌরোহিত্যের প্রশিক্ষণ নেন মধুমতী। জুমের মাধ্যমে একজন অভিজ্ঞ প্রবীণ পুরোহিতের কাছ থেকে মাতৃ আরাধনার প্রশিক্ষণ নেন তিনি। বলা বাহুল্য, মধুমতীর এই সাহসী পদক্ষেপ ধর্মীয় ঐতিহ্যের গ্লোবাল আন্দোলন।

মেলবোর্নে মায়ের বন্দনা।

এভাবে দুর্গোপুজোয় মহিলা পুরোহিতের অন্তর্ভুক্তি আধুনিকতার বার্তাবহ। সমগ্র প্রবাসী সম্প্রদায় এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে এই পরিবর্তন ভীষণ প্রাসঙ্গিক। অনুপ্রেরণামূলকও বটে। তবে এই সাফল্য সত্ত্বেও মহিলা পুরোহিতরা এখনও বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছেন। অনেক রক্ষণশীল সংগঠক সামাজিক উষ্মার ভয়ে মহিলা পুরোহিতদের গ্রহণ করেন না। তাছাড়া সংস্কৃত ভাষায় পৌরোহিত্যের প্রশিক্ষণের সুযোগ মহিলাদের জন্য সীমিত। এর বাইরে পবিত্রতা এবং লিঙ্গ সম্পর্কিত কুসংস্কার অব্যাহত রয়েছে। অতএব, মহিলা পুরোহিতের এই সংগ্রাম কেবল ধর্মীয় নয়, বরং সামাজিক এবং সাংস্কৃতিকও। মনে রাখতে হবে, মায়ের উপাসনার সময় তাঁর কন্যাদের কণ্ঠস্বর কেবল উপযুক্তই নয়, অপরিহার্যও। সেই সাংস্কৃতিক অপরিহার্যতায় এবার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব পালিত হবে মেলবোর্ন শহরে। আয়োজক কমিটি হল প্রতিভা মেরন্ডা দুর্গোৎসব।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement