মঙ্গলবার নেপালে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ছবি পোড়াল বিদ্রোহীরা। ছবি: পিটিআই
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনতার উপরে কেউ না। সর্বশক্তিমান হিরক রাজারও পতন হয়েছিল। মানুষ ক্ষেপে গেলে কী হতে পারে তা আগেই দেখেছিল শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। এবার তা প্রত্যক্ষ করল নেপাল। গণবিপ্লবে ভিভিআইপি নেতা-মন্ত্রীরা রাতারাতি অতি সাধারণে পরিণত হল। এমনকী জনতার হাতে বেধড়ক মার খেল দেশটেরি প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেল। মারধরের সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। এখানেই শেষ নয়, নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের স্ত্রী রবিলক্ষ্মী চিত্রকরকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হন তিনি। পরে অগ্নিদগ্ধ হয় মৃত্যু হয় তাঁর।
উপপ্রধানমন্ত্রীর ভিডিওটি তোলা হয় একটি বাড়ির ছাদ থেকে। সেখানে দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে তাড়া করে মারধর করা হচ্ছে। নেপালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ওই ব্যক্তি নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী বিষ্ণু। এরপরেই খবরে আসে, নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের স্ত্রী রবিলক্ষ্মী চিত্রকরকে পুড়িয়ে মেরেছে বিক্ষোভকারীরা। বলা হচ্ছে নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হন তিনি। পরে অগ্নিদগ্ধ হয় মৃত্যু হয় তাঁর। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং বিদেশমন্ত্রী আরজু রানাকে বেধড়ক মারধর করে আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার যত বেলা গড়িয়েছে, তত জনতার হাতে চলে গিয়েছে রাজধানী কাঠমান্ডু। সংসদ ভবন, সিংহদুয়ার, মন্ত্রীদের বাসভবন ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীরা পুড়িয়ে দিল নেপালের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারির বাড়ি। এমন পরিস্থিতিতেই প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেন। যা গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পাউডেল। বর্তমানে সেনা শাসনে রয়েছে নেপাল। সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জেন জি-কে দেশে শান্তি ফেরানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নেপালে নিষিদ্ধ হয় ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ প্রায় সব ধরনের সোশাল মিডিয়া। সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে সরকারি ভাবে নথিবদ্ধ হয়নি। সাতদিনের ডেডলাইন দিলেও তা মেনে চলেনি ২৬টি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একটিও। তাই এই কড়া সিদ্ধান্ত নেয় কাঠমান্ডু সরকার। এমন সিদ্ধান্তেই বেজয় ক্ষেপেছে নেপালের ‘জেন জি’। সোমবার হাজার হাজার প্রতিবাদী কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান। রাতের মধ্যে তা হিংসাত্মক চেহারা নেয়। এরপর মঙ্গলবার আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে জনরোষের মুখে পড়ে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ওলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.