সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাসের কবলে থাকা পণবন্দিদের মুক্ত করা হোক। সেই সঙ্গে এবার থামুক গাজা সংঘর্ষ। এই দাবি তুলে ইজরায়েলে পথে নামলেন বহু মানুষ। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বহু হাইওয়ে। ‘হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম’ নামের এক সংগঠন এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এর ফলে রাজধানী তেল আভিভ-সহ বহু শহরেই সৃষ্টি হয়েছে বিরাট যানজট।
গত কয়েকদিন ধরেই এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। যা পরিস্থিতি, তাতে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধে এবার ঘরেই কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। উল্লেখ্য, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, তিনি ৫০ জন পণবন্দিকে ফেরানোর জন্য আলোচনার নির্দেশ জারি করেছেন। তবে, এরই মাঝেই গাজায় নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে। নেতানিয়াহুর এই আচরণে বিক্ষোভকারীদের ধারণা তিনি শান্তি চুক্তিতে আদৌ আগ্রহী নন। বরং পণবন্দিদের বলি দিতেই চাইছেন তিনি। আর এখান থেকেই বিক্ষোভের সূত্রপাত। মনে করা হচ্ছে, হামাসের কাছে জীবিত পণবন্দির সংখ্যা প্রায় ২০।
এই পরিস্থিতিতে ক্রমেই বাড়ছে বিক্ষোভের ঝাঁজ। তেল আভিভের উত্তরে ইয়াকুম জংশনের কাছে কোস্টাল হাইওয়েতে রাস্তার মাঝ বরাবর আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে প্রতিবাদীরা। পণবন্দিদের একজন মাতান জাঙ্গাউকারের মা আইনাভ জাঙ্গাউকারের দাবি, কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই লড়াই চালাচ্ছে ইজরায়েল। ৬৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও যার নিষ্পত্তি হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ক্ষমতায় টিকে থাকতে আমজনতাকে বলি দিচ্ছেন নেতানিয়াহু।
২০২৩ সাল থেকে ইজরায়েল ও হামাসের নয়া সংঘাতের সূচনা। এরপর থেকে অন্তত ৬০ হাজার প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। গাজায় ৪ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ ক্ষুধার্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৭১ হাজার! এমনটাই জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। গত ২ মার্চ থেকে খাবার, ওষুধ, জ্বালানি-সহ মানবিক সাহায্য গাজা ভূখণ্ডে পৌঁছনো বন্ধ করে দিয়েছিল ইজরায়েল। পরে ত্রাণে সম্মতি দেওয়া হলেও ইজরায়েলি সেনার গুলিতে ত্রাণ নিতে আসা অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে গাজার পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.