Advertisement
Advertisement
Charlie Kirk

দূরপাল্লার স্নাইপারে খুন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ চার্লি কির্ক! উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, এখনও অধরা খুনি

সভার মধ্যেই আচমকা গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন ওই সমাজকর্মী।

Rifle used to kill Charlie Kirk recovered
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:September 11, 2025 10:11 pm
  • Updated:September 11, 2025 10:14 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল, বুধবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ চার্লি কির্কের। আমেরিকার উটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এখনও সন্ধান মেলেনি খুনির। দূরপাল্লার স্নাইপার রাইফেলের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আগ্নেয়াস্ত্রটি ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার এফবিআই জানিয়েছে, অত্যাধুনিক যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কির্ককে হত্যা করা হয়েছে সেটা উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি খুনিকে ধরতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, আততায়ী বয়সে তরুণ। তাকে দ্রুত ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। বুধবার উটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় হাজার তিনেক দর্শক হাজির ছিল। সেই সময়ই আচমকা গুলিবিদ্ধ হন কির্ক। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গত বছর নির্বাচনী সভায় ট্রাম্পের কানের লতি ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল আততায়ীর বুলেট। কোনওমতে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও ভাগ্য সহায় হল না ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ৩১ বছর বয়সি কির্কের।

কীভাবে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটাল আততায়ী? ঘটনাস্থলে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অনুমান করা হচ্ছে, সভাস্থলের কাছাকাছিই ঘাপটি মেরেছিল খুনি। সম্ভবত কাছের কোনও বাড়ির ছাদেই ছিল সে। আর সেখান থেকে রীতিমতো সামরিক কায়দায় ওই স্নাইপার রাইফেলে নিখুঁত লক্ষ্যভেদ করতে সফল হয় আততায়ী। মনে করা হচ্ছে, রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিয়েই নেমেছিল সে। অন্যথায় ওই দূরত্ব থেকে এমন নিশানায় লক্ষ্যভেদ সম্ভব হত না।

ট্রাম্পের অন্যতম সহযোগী ছিলেন কির্ক। আমেরিকার তরুণ ভোটারদের রিপাবলিকান পার্টির দিকে আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। সম্প্রতি ‘আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’ নামে তিনি একটি কর্মসূচি শুরু করেন। যেখানে তিনি আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। কর্মসূচির মূল বিষয়টি ছিল দেশের তরুণ ভোটারদের ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান পার্টির পক্ষে আনা। সেই কর্মসূচির অংশ হিসাবেই তিনি বৃহস্পতিবার উটার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। 

এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে মার্কিন বামপন্থীদের ‘হাত’ দেখছেন ট্রাম্প। কির্ককে ‘মহান দেশপ্রেমিক’ উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তোপ, আমেরিকার বামপন্থীরা যেভাবে তাঁকে নাৎসিদের সঙ্গে তুলনা করে গিয়েছেন লাগাতার, সেটাই তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছে। যার ফলেই এক কলেজে পড়ার বয়সি তরুণের হাতে প্রাণ দিতে হল এই সমাজকর্মীকে।

এদিকে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের ৯/১১ উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেই সফর বাতিল করেছেন। পরিবর্তে কির্কের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। ওই পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক সদস্যের দাবি তেমনই।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ